ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ধর্ম-বিজ্ঞান ও সমাজ-সাহিত্যে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত নিয়ে বই

তানিম কবির, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
ধর্ম-বিজ্ঞান ও সমাজ-সাহিত্যে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত নিয়ে বই

বইমেলা থেকে: ধর্ম-বিজ্ঞান ও সমাজ-সাহিত্যে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত নিয়ে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মৃত্যু বিষয়ক বই ‘মৃত্যু’। লিখেছেন এএনএম নূরুল হক।

বইটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। প্রচ্ছদ ধ্রুব এষের। বিনিময় মূল্য ৪৮০ টাকা।

…ইহুদি ধর্মের মৃত্যু সম্পর্কিত দর্শন হলো ‘যতক্ষণ জীবন আছে ততক্ষণ আশা আছে। ’ অর্থাৎ এই ধর্মে পারলৌকিক জীবনের চেয়ে পার্থিব জীবনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেকোনো উপায়ে একজন মানুষের জীবন বাঁচানোকে সর্বোৎকৃষ্ট ধর্মীয় কাজ বলে বিবেচিত হয়। তবে মৃত্যুকে এড়িয়ে বেঁচে থাকার জন্যে ইহুদিরা একটা খুব হাস্যকর উপায় অবলম্বন করে থাকেন। সেটি হলো রোগাক্রান্ত ব্যক্তির নাম বদলে ফেলা।
 
ইহুদিদের বিশ্বাস, মৃত্যুদূত যখন একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর আত্মা হরণ করে নিয়ে যেতে আসবেন, তার আগেই ওই ব্যক্তির নাম বদলিয়ে ফেললে মৃত্যুদূত তাকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে যাবেন। এভাবে নাম বদলিয়ে মৃত্যুদূতকে ফাঁকি দিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিটি যদি তিরিশ দিন বা এর চেয়েও বেশি দিন বাঁচেন, তবে তাঁর সমাধিফলকেও নতুন নামটিই লিখতে হবে। তবে বৃদ্ধ এবং দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই উপায় অবলম্বন করা হয় না…।
 
দেশে দেশে বিভিন্ন ধর্ম, বিজ্ঞান, সমাজ ও সাহিত্যের আলোকে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত নিয়ে এমনই সব চমকপ্রদ রীতিনীতি ও উপকথায় মৃত্যু বইটি। পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ২৫৮-২৬০ নম্বর স্টলে।
 
মৃত্যু বইটি সম্পর্কে লেখক নূরুল হক বলেন, উন্নত বিশ্বে মৃত্যুকেন্দ্রিক কিছু সাম্প্রতিক গবেষণা মৃত্যুর অপার রহস্য সম্পর্কে মানুষকে এমন কিছু জিজ্ঞাসার সম্মুখীন করেছে, যার উত্তর তার জানা চাই-ই চাই। বইটিতে ধর্মীয়, সামাজিক ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণের পাশাপাশি এ সব জিজ্ঞাসার যথার্থ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটি লিখতে গিয়ে দেশবিদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মৃত্যু সম্পর্কিত ধ্যানধারণা সম্যক উপলব্ধি করার কর্মযজ্ঞে ঋত্বিকের মতো আমাকেও উতরোল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। ‘কেমন মৃত্যু চান?’—অত্যন্ত বিব্রতকর এই প্রশ্নটি নিয়ে মুখোমুখি হতে হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের শতাধিক মানুষের। কখনো বা সহ্য করতে হয়েছে অশালীন আচরণ।
 
তিনি বলেন, বইটি পড়ে জাজ্বল্যমান বিভীষিকা মৃত্যুর অহেতুক ভয়ভীতি যদি পাঠকের মন থেকে দূরীভূত হয় এবং মৃত্যু যে মহাজীবনের এক অবিনাশী অনুষঙ্গ, এই সম্ভূত সত্যটা পাঠক যদি সম্যক উপলব্ধি করতে পারেন, তাহলেই আমার পরিশ্রম ষোলোআনা সার্থক হয়েছে বলে ভাববো। মনে রাখতে হবে, কেবলমৃত্যুই আমাদের হাত ধরে নিয়ে যেতে পারে সসীম জীবন থেকে আমাদের অনিবার্য গন্তব্য অনন্ত মহাজীবনে। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন : ‘মৃত্যু অমৃত করে দান। ’
 
মৃত্যুর সংজ্ঞা, মৃত্যুর সুলুকসন্ধান, মৃত্যুর ধর্মীয় বিশ্লেষণ, মৃত্যুর মধুরিমা, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, অন্ত্যেষ্টিক ভোজ, আত্মহত্যা, মহাআত্মহনন, মরণাভিলাষ, সুইসাইড নোট, করুণা মৃত্যু, মৃত্যুভয়, মৃত্যুশোক, অমরত্বের সন্ধানে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান, অন্তিম অভিলাষ, কফিন-বিলাস, সমাধিক্ষেত্র, সমাধিলিপি, শেষ চিঠি, কী আছে শেষে ও কেমন মৃত্যু চাই—শীর্ষক মৃত্যু বিষয়ে মোট ২২টি লেখা স্থান পেয়েছে বইটিতে।

এ বইটিসহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোনো বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
টিকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।