ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

সাহাদাত পারভেজের গজারিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৭
সাহাদাত পারভেজের গজারিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গজারিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বইমেলায় গ্রন্থ/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পৌরাণিক কাহিনি আর প্রাচীন সাহিত্যে মেঘনা নদী নয়, মেঘনা সাগর, প্রমত্তা ভীষণা। প্রাচীন মেঘনা তার সাগর খেতাব হারিয়ে এখন নিঃস্ব নদী। আজ থেকে প্রায় চার’শ বছর আগে মেঘনার বুকে জেগে ওঠে এক বিশাল দ্বীপ। এ দ্বীপের নাম রাখা হয় ভবচর। ভবসাগরে এ চর জেগে ওঠেছিলো বলেই হয়তো এমন নাম।

মেঘনার গহীন থেকে ভেসে ওঠা সেই দ্বীপটিই আজকের জনবহুল গজারিয়া। বাংলাদেশের বুকে এর আয়তন মাত্র ৫১ বর্গমাইল।

মোগল আমলের মাঝামাঝি সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ দ্বীপটি কেমন করে একটি ব্যস্ত জনপদে পরিণত হলো তারই ধারাবাহিক বয়ান আছে বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠাজুড়ে।

ব্রিটিশ আমলের শেষ সময় পর্যন্ত লোকে এ এলাকাকে চিনত ‘ফুলদী গজারিয়া’ হিসেবে। মোগল আমলের শেষ সময় থেকে এ ভূখণ্ডে জনবসতি গড়ে ওঠতে থাকে। ভূতাত্ত্বিক কারণেই সম্ভবত এর আগে এখানে বসতি স্থাপন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পরবর্তী সময়ে উর্বরা ভূমিই চারপাশের মানুষদের এখানে টেনে নিয়ে আসে। এইসব প্রান্তিক মানুষের পাশাপাশি আসেন কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তিও। নদীঘেরা এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে তারা আসেন মূলত ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার কারণে। এদের কেউ কেউ আসেন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে।

সমকালীন সমাজের ক্ষমতাবান এ মানুষগুলো কোথা থেকে আসলেন কিংবা কেমন করে এ ভূসম্পত্তির মালিক হলেন, তারই বিস্তৃত বর্ণনা আছে এ বইয়ে। ১৭ বছর ধরে নানা দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ করে বইটি লেখা হয়েছে। বইটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক প্রামাণ্য দলিল।

বইটি প্রকাশ করছে উৎস প্রকাশন। মুখবন্ধ লিখেছন বরেণ্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুস্তাফিজ কারিগর। ২৯৬ পৃষ্ঠার বইটি অলংকরণ করেছেন শিশির আহমেদ। মেলার ১৯৭, ১৯৮, ১৯৯ ও ২০০ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

এ বইয়ের লেখক একজন খ্যাতিমান আলোকচিত্রী, আলোকচিত্র সাংবাদিকতার শিক্ষক ও পরামর্শক। জন্ম ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে। কিশোর বয়স থেকেই লেখালেখির শুরু। ওই সময় ছবি তোলার নেশাও পেয়ে বসে। এক সময় মনে হয় ছবি তোলাই উপযুক্ত পেশা। পাঠশালা-সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি থেকে ফটোসাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ফটোসাংবাদিক হিসেবে পেয়েছেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটোসাংবাদিকতা বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তবে, গবেষণা ও ইতিহাস বিষয়ে গভীর মনোযোগ তার।

লেখকের কবিতার বই ‘যে ছবি হৃদয়ে আঁকা’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে, কলেজে পড়ার সময়। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় ফটো অ্যালবাম ‘শতবর্ষের পথিক’। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘শেকড়ের খোঁজে’। নিজের স্কুল নিয়ে লেখা বই’ একটি বিদ্যালয় বৃত্তান্ত’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।