ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

‘অন্য প্রকাশ’র ভিড় পুরো মেলায়

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
‘অন্য প্রকাশ’র ভিড় পুরো মেলায় বইপ্রেমীদের ভিড়ে মুখরিত মেলা/ছবি: শাকিল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আর ‘অন্য প্রকাশ’ একে অপরের পরিপূরক। অন্য প্রকাশ মানেই হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আহমেদ মানেই ‘অন্য প্রকাশ’- এই ছিল গত দুই দশক ধরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গ।

মৃত্যুর পর গত চারটি মেলায়ও হুমায়ুন আহমেদ ও ‘অন্য প্রকাশ’ ‘জুটি’ ছিলো হিট। মেলার শুরু থেকে অন্য প্রকাশের প্যাভিলিয়নে ছিলো মানুষেল ঢল।

কিন্তু এ বছর থেকে এ জুটির দাপট যে কমতে শুরু করেছে- তা অন্য প্রকাশের সামনে গেলেই বোঝা যায়!
 
তার মানে এই নয়, অন্য প্রকাশের প্যাভিলিয়নের ভিড় অন্যসব প্যাভিলিয়ন থেকে কম। বরং অন্য যে কোনো প্যাভিলিয়ন থেকে এখনও অন্য প্রকাশের প্যাভিলিয়নে ভিড় একটু বেশি-ই বৈকি! যা বলতে চাই, তা হলো, ভিড়টা আগের মতো নেই।
 
মেলার অষ্টম দিন বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ দ্বার খোলার পর নামি এ প্রকাশনীটির সামনে যে ভিড় তা যেন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মেলায়।
 
বিক্রয়কর্মী মাহমুদ নুরুদ্দিন এক গাল হেসে বললেন, মেলার অষ্টম দিন তো! তাই ভিড় বিক্রি দুই-ই বেড়েছে। আশা করছি আগামী শুক্র-শনি নাগাদ মেলা আরও জমে যাবে!
 
শুধু অন্য প্রকাশ নয়, মেলার অন্যসব প্রসিদ্ধ প্রকাশনীর স্টল ও প্যাভিলিয়নেও বুধবার মেলার শুরু থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বইপ্রেমীদের হাতে দেখা গেছে বই। বস্তুত মেলা এখন জমে ওঠার অপেক্ষায় বলা চলে।
 
বইপ্রেমীদের ভিড়ে মুখরিত মেলা/ছবি: শাকিলবিকেল তখন ৪টা। পুরো মেলা এক চক্কর দিয়ে ফের অন্য প্রকাশের সামনে। দেখি ষাটোর্ধ্ব এক ভদ্রলোক উচ্চৈঃস্বরে কি যেন বলছেন। আর বিক্রয়কর্মী নুরুদ্দিন তার প্রতিটা কথা বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দিচ্ছেন!
 
কী হয়েছে? তরুণ লেখক সাদিয়া মাহজাবীন ইমামের ‘রক্তমূলে বিচ্ছেদ’ বইটি কিনে ওই ভদ্রলোক মূল্য পরিশোধ করেছেন, এখন চলছে ক্যাশ মেমো তৈরির কাজ। কিন্তু বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে রাজিন নন তিনি। বলছেন, রশিদ লাগবে না, তাড়াতাড়ি বাকি টাকা ফেরত দিন।
 
মানজার হোসেন নামের ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি বলেন, নবীনদের বই না কিনলে লেখক তৈরি হবে না। বেশি বেশি করে নবীনদের বই পড়লেই বোঝা যাবে, এদের মধ্যে কার কেমন সম্ভাবনা। তারপর সময় বলে দেবে কে টিকবে, কে টিকবে না।
 
সময় প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নেও ভিড় দেখা গেছে মেলার অষ্টম দিন। বই কেনা আর দেখার জন্য মেলায় আসছেন হাজার হাজার বইপ্রেমী। ভিড় এবং বিক্রিতে মুখে হাসি ফুটেছে প্রকাশক, বিক্রয়কর্মী ও কর্মকর্তাদের।
 
সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবসময় ভালো বই আনার চেষ্টা করি। সঙ্গত কারণেই পাঠকের কাছ থেকে আশা করি ভালো রেসপন্স। গত ৭ দিনে সেই রেসপন্স সে রকম না পেলেও আজ মনে হচ্ছে পাঠক পাবো।
 
কথা হয় বনানী থেকে মেলায় আসা আয়শা রহমানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রথম দিকে তো সব বই আসে না। তাই একটু অপেক্ষা করতে হয় সপ্তাহ খানেক। মেলার অষ্টম দিনে অনেক নতুন বই চলে এসেছে। এখন কেনার পালা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এজেড/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।