ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

শিশুদের দিনে বসন্তের ছোঁয়া

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
শিশুদের দিনে বসন্তের ছোঁয়া শিশু প্রহরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের প্রদর্শনী/ছবি: কাশেম হারুন

গ্রন্থমেলা থেকে: একদিন পরেই প্রকৃতি রাঙিয়ে যাবে ঋতুরাজ বসন্ত। অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। বসন্তের আগমনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সেই সঙ্গে বাড়ছে মেলায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ছিল শিশু প্রহর। প্রহরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের প্রদর্শনী।

শিশুরা বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখে হালুম, ইকরা এবং টুকটুকির কারসাজি।

আর একদিন পরই ফাগুন এসে সরিয়ে দেবে মাঘের ধূসরতা। ফাগুনের ছোঁয়া এসে পড়েছে মেলায়। শিশুদের পোশাকে যেমন রঙের ছোঁয়া পড়েছে, তেমনি তরুণীদের মাথায় ফুলের মালাও শোভা পাচ্ছে।

গ্রন্থমেলার ১১তম দিনে নতুন বই এসেছে ২০১টি এবং ৬২টি নতুন বইয়র মোড়ক উন্মাচন হয়েছে এদিন।

সকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা এবং মোবারক হোসেন। শিশু-কিশোর সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় ৯০জন এবং উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ২৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়।

বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আবদুল গফুর হালী : জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির উদ্দিন হায়দার। শামসুল হাসাইন এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন রাহমান নাসির উদ্দিন এবং সাইমন জাকারিয়া।
শিশু প্রহরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের প্রদর্শনী/ছবি: কাশেম হারুনআবদুল গফুর হালী : জীবন ও কর্ম শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনে নাসির উদ্দিন হায়দার বলন, আবদুল গফুর হালীর জীবন-দর্শনের মূল কথা হলো প্রেম ও মানব শ্রেষ্ঠত্ব। তার গানের পরতে পরতে রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার জয়গান, আছে প্রকৃতির সুর, নর-নারীর প্রেম-বিরহ, হাসি-কন্না।

তিনি ধার্মিকতার চাইতে মানবিকতা, আচারের চাইতে আচরণ, বিশেষ করে হৃদয়র গভীরতম সত্য প্রকাশকে পরম বল মন করতেন। আবদুল গফুর হালীর গান দেশ ছাড়িয় বিশ্বের নানা প্রান্তের সাহিত্যিক ও গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
 
বক্তারা বলেন, আবদুল গফুর হালী একজন সংগীত-রচয়িতা, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও আঞ্চলিক নাটক রচয়িতা। কিন্তু সব থেকে বড় পরিচয় তিনি একজন সাধক। তিনি সুফি সাধনার মৌলিক স্তরটিকে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী কল্যাণী ঘোষ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস এবং সাজেদুল ইসলাম ফাতেমী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/এমজেএফ

**
‘বইমেলায় কেউ ফোয়ারা দেখতে আসে না’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।