ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় বদরুন নাহারের গল্পের বই ‘বিচ্ছিন্ন সংযোগ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
বইমেলায় বদরুন নাহারের গল্পের বই ‘বিচ্ছিন্ন সংযোগ’ বদরুন নাহারের গল্পগ্রন্থ ‘বিচ্ছিন্ন সংযোগ’

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে তরুণ লেখক বদরুন নাহারের গল্পগ্রন্থ ‘বিচ্ছিন্ন সংযোগ’।

যুদ্ধ, প্রেম ও শৈশবসহ মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ উপাদানগুলোকে উপজীব্য করে লেখা ১৩টি গল্প রয়েছে বইটিতে। অসাধারণ গল্প বলিয়ে বদরুন নাহার কৃতিত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন সেসব বিষয়-উপাদানকে।

মানুষের সঙ্গে মানুষের ক্রমাগত বিচ্ছিন্নতার এ গল্পগুলো যেন এক সূতায় গাঁথা হয়ে গেছে তার লেখনশৈলীতে। পড়তে বসলে পাঠককে নিয়ে যায় নানা ঠিকানায়। মানুষের জীবনও এমনই- সংযোগ হতে হতেও যেন হয় না। তারপরও মানুষ ধরে মানুষের বাড়িয়ে দেওয়া হাত।

বইমেলার একদম শেষের আগের দিন সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এসেছে বদরুন নাহারের ষষ্ঠ গল্পের ও প্রকাশিত অষ্টম বইটি। প্রকাশ করেছে প্রকৃতি প্রকাশনী। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৪৯০ নম্বর স্টলে।

এর আগে বের হওয়া তার সাতটি বইয়ের মধ্যে পাঁচটি গল্পগ্রন্থ হচ্ছে- গল্পগুলো ব-দ্বীপের (২০০৬), ঢেণ্টনপা’র দেশে (২০০৮), ভাতগল্প (২০১১), বৃহস্পতিবার (২০১৩) ও আমাদের গ্রামে মালোপাড়া নাই (২০১৬)। এছাড়া রয়েছে উপন্যাস আশ্বিনের শেষ রাত্তিরে (২০১৫) ও শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ককরোজ-নকরোজ’(২০১২)।

গল্পের ছোট কাগজ শূন্যপুরাণ সম্পাদনা করেন তরুণ এই লেখক।

বদরুন নাহারের জন্ম ফরিদপুরে ১৯৭৭ সালের ২২ আগস্ট।

ফরিদপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিএইচডি গবেষণারত।

সাংবাদিকতা দিয়ে বদরুন নাহারের কর্মজীবন শুরু। কাজ করেছেন দৈনিক আমাদের সময় ও দৈনিক সমকালে। লেখক হিসাবে কর্মরত ছিলেন শিশুশিক্ষা ও বিনোদনমূলক টিভিশো’ ‘সিসিমপুর’- এ, এশিয়াটিক এমসিএল।

লেখালিখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন নির্ণয় সাহিত্য পুরস্কার (২০১২) ও সমকাল-ব্র্যাক ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (২০১৩)।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।