রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে লোক সমাগম চোখে পড়ে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন দর্শনার্থীরা।
প্রথম সারির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের স্টলেই ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে ফিরতি পথে অধিকাংশ দর্শনার্থীদেরই খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মুনিরা দিলশাদ ইলা বলেন, এখনো মেলা পুরোপুরি জমে ওঠেনি। প্রকাশকদের সব বই মেলায় এসে পৌঁছায়নি। এজন্য বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। পাশাপাশি বই দেখছি। সামনে পছন্দ হলে বই কিনব।
কাকলী প্রকাশনীর বিপণন শাখার এনামুল হক সোহেল বাংলানিউজকে জানান, মেলার চতুর্থ দিনে বিক্রি মোটামুটি। তবে অন্য বছরের তুলনায় প্রথম দিকে লোক সমাগম বেশি হচ্ছে। বাণিজ্যমেলা শেষ হলে বই বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
মেলায় উপন্যাসের বেশি চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে অন্বেষা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী উত্তম বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, মেলার চতুর্থ দিনে বিক্রি তুলনামূলক ভালো। তবে আগতদের বেশিরভাগই উপন্যাস আর সায়েন্স ফিকশন খোঁজেন।
এদিকে গ্রন্থমেলার চতুর্থ দিনেও সব কাজ শেষ হয়নি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বেশ কয়েকটি স্টলের কাজ এখনো অসম্পন্ন। এছাড়া বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্র তৈরি হয়নি এদিনও। তবে অন্যবারের চেয়ে ধুলার কম দেখা গেছে। মেলার অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশে দুইবার পানি ছিটানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গ্রন্থ কুটির প্রকাশনীর তৌফিক শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, স্টলের সামনে বালি থাকায় দর্শনার্থীরা এলে ধুলার কারণে সমস্যা হতো। আজকে পানি ছিটানোয় এ সমস্যা অনুভূত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ