তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলায় বিভিন্ন লেখকের বই বের হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য সব বই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ না।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৬ষ্ঠ দিন মঙ্গলবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) চিত্র এটি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠতে শুরু করেছে বাঙালির প্রাণের এ মেলা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় মেলায় বইপ্রেমী-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল বেশি। তবে যারা মেলায় আসছেন তারা ঘোরার সময় কোনো বই পছন্দ হলে কিনে নিচ্ছেন। আবার কেউ বিভিন্ন স্টল ঘুরে বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করছেন। অনেকে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি করছেন।
এদিন জনপ্রিয় প্রকাশনী অন্যপ্রকাশ, তাম্রলিপি, অনন্যা, অবসর, ঐতিহ্য, কাকলী, সময় প্রকাশনের স্টলে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গতবছরের তুলনায় মেলায় প্রথম দিকে বিক্রি কম। তবে যারা আসছেন তারা পছন্দ হলে বই কিনছেন। বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ায় সামনের সপ্তাহ থেকে বিক্রি বাড়বে।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ‘সাইক্লোন’ বইটি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগই একসঙ্গে অনেকগুলো বই কিনছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মোস্তাকিম আহমেদ সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলায় আসতে মন চায় প্রতিদিন। ক্যাম্পাস থেকে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। সেজন্য একসঙ্গে ৮টি বই কিনলাম।
গ্রন্থমেলায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গবেষণাধর্মী বই কিনছেন। ‘দিব্যপ্রকাশ’ এর স্টল থেকে আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার লেখা ‘বাংলাদেশের প্রাচীন কীর্তি’ বইটি কিনেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মৌসুমী শারমিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি মেলায় আসলে ঐতিহাসিক ও গবেষণাধর্মী বই অগ্রাধিকার দিই। পরে গল্প-উপন্যাসের বই কিনি।
গ্রন্থমেলায় বিকেলে এসেছিলেন লেখক আনিসুল হক। এসময় এই লেখককে ঘিরে ভক্তদের জটলা তৈরি হয়। অনেক তরুণ-তরুণী সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসময় লেখক আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে নতুন প্রজন্ম বইয়ের দিকে ফিরে আসছে। অনেকে লেখক হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ধারণা ফেসবুক, গণমাধ্যম এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তারা এই মাধ্যমে থেকে খবর পেয়ে বই সম্পর্কে খোঁজ করছে। নিজেকে গঠন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসকেবি/এএ