কবি সাইফুল ভূঁইয়া ফ্রস্টের কথা সানুধ্যান পাঠ ও আত্মসাৎ করেছেন বলে মনে হয়। তবে তিনি তার কাব্যসাধনায় যে নতুন পথে হেঁটেছেন সেখানে অগ্রজদের অস্বীকার করেননি; বরং একসঙ্গে চলতে চলতে কৌশলে আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন।
কবিতায় লেখকের শব্দচয়ন, উপমার প্রয়োগ ও বিষয়বস্তু নির্বাচনে যে নতুনত্ব তা কবিতার সচেতন পাঠকমাত্রই ধরতে পারবেন। অত্যন্ত সরল বিন্যাসে অপূর্ব ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে তার কাব্যভাষা। যেমন তিনি বলছেন, ‘মেঘ ভেবে আস্তিন ধরে টানে/ পথের পাশের পুকুর/ বাড়ি ফেরা হলো না আর...’
বর্তমান সময়ের কবিতা থেকে পাঠের আনন্দ উঠে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ ওঠে সমসাময়িক অনেক কবির ক্ষেত্রে, তখন তা খণ্ডন করেছেন সাইফুল ভূঁইয়া। লিখছেন বহুদিন থেকেই নিজের মতো করে একান্তে। ফলে প্রকাশ যখন ঘটছে তখন একজন পরিণত কবিকেই পাচ্ছেন পাঠক।
‘চন্দ্রচূর্ণ’ এ লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে মূর্ধন্য প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ