সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেল ৩টায় গ্রন্থমেলার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থী অনেক কম ছিল। যে কয়েকজন দর্শনার্থী-বইপ্রেমীরা মেলায় এসেছেন তারা এদিক সেদিক ঘুরছেন।
গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনে বেশ কয়েকটি স্টল বন্ধ দেখা যায়। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকা স্টলগুলো হচ্ছে ইছামতি প্রকাশনী, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, সুলেখা প্রকাশনী, ছোটদের মিলনমেলা, প্রিয় প্রকাশ, বাংলালিপি প্রকাশনী, নক্ষত্র, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি, অন্বয় প্রকাশ, বুকস ফেয়ার, কবি প্রকাশনী, নূর কাসেম পাবলিসার্স, গ্রন্থ প্রকাশ, নিহাল পাবলিকেশন, সিসটেক প্রকাশনী, ত্রয়ী প্রকাশন, মধ্যমা, সূচিপত্রের বই সুনির্বাচিত বই, মিয়াজী পাবলিকেশনস, পলক, অভ্র প্রকাশ, দ্যা পপ আপ ফ্যাক্টরি। বাংলা একাডেমি অংশে কয়েকটি স্টল বন্ধ দেখা গেছে।
এছাড়া বেশ কয়েকটি স্টল বিকেল সোয়া পাঁচটার পর খোলা হয়। জানতে চাইলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনীর অফিস সেক্রটারি জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার অফিসে কাজ ছিল এজন্য স্টল খুলতে দেরি হয়েছে। অন্যদিকে কালান্তর প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আশিক বলেন, রায়ের কারণে আসতে দেরি হয়েছে।
বিকেল ৫টার পরেও স্টল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তরফদার প্রকাশনীর মালিক মাহবুবুল আলমকে ফোন দেয়া হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পরিবহন সমস্যার কারণে স্টলে থাকা বিক্রয়কর্মীরা আসতে পারে নি। দ্রুত স্টল খোলা হবে বলে জানান তিনি।
বুকস্ ফেয়ার স্টলের মালিক স্বর্ণা বাংলানিউজকে বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে আজকে স্টল খোলা হয়নি। শুক্রবার স্টল খোলা হবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে মেলায় আগত বইপ্রেমীদের অনেককে বই কিনতে দেখা গেছে। বাংলা একাডেমি স্টল থেকে ছেলে ও নিজের জন্য ছয়টি বই কিনেছেন সরকারি চাকরিজীবী নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বইমেলায় এখনো পুরোপুরি জমজমাট হয়নি। শিগগিরই এই অবস্থা থাকবে না।
স্টল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৩টায় সব স্টল খোলা হয়েছে। মেলা যথারীতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ