সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নজরুল মঞ্চের ঠিক ডান পাশেই হসপিটালটির স্টল। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় দেখে না গিয়ে পারা গেলো না।
স্টলে রয়েছে তাদের রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার। রোগী আসা মাত্রই রেজিস্ট্রেশন শেষে চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, তারা মূলত পাঁচটি সেবা দেওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে এসেছেন। এগুলো হচ্ছে- রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ, ডায়াবেটিক পরীক্ষা, ফিজিশিয়ান কাউন্সিলিং, ডায়েট কাউন্সিলিং ও ইসিজি। যদিও মেলা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আলাদা জায়গা না পাওয়ায় ডায়েট কাউন্সিলিং ও ইসিজি সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, এ দু'টি সেবা দেওয়ার জন্য আলাদা একটু জায়গা থাকা জরুরি। যেখানে ইসিজি করার উপকরণ রাখা হবে। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। হয়তো শিগগিরই তারা জায়গা দেবে।
শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ কানে এলো নারী কণ্ঠ, এই ডায়াবেটিক টেস্ট করে দেবেন। আনেয়ারা বেগম নামে মধ্যবয়সী ওই নারী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই তো ডায়াবেটিক চেক করা ভালো। কিন্তু করা হয়ে ওঠে না। স্বামী রোকন আহমেদ তো আরো অনিয়মিত ডায়াবেটিক টেস্ট করান। তাই এখানে সুযোগ নিই। এটি খুব ভালো কাজ হয়েছে।
বুকে হালকা ব্যাথা নিয়ে ইসিজি করার জন্য এসেও করাতে না পেরে মন খারাপ অবসরপ্রাপ্ত সরকার কর্মকর্তা আবদুস সালামের। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হার্টে রোগ নেই। তবে বুকে কিছুদিন ধরেই ব্যাথা হয়। মেলায় এসে ব্যাথাটা জেগে উঠেছে। পাত্তা না দিলেও একটা অস্বস্তি লাগছে। আর ওদের ফেস্টুন দেখে ভাবলাম ইসিজিটা করে দেখি। কিন্তু তারা নাকি মেশিন, বিছানা বসাতে পারছেন না। মেলা কর্তৃপক্ষের জায়গাটা দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
ইইউডি/এএ