মাঘ মাসের শেষ দিনে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। ক্রেতা কম বলে মোটেই উদ্বিগ্ন নন প্রকাশকরা।
গ্রন্থমেলা কেবল মেলাই নয়, এটি বাঙালির উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। বসন্তবরণ হোক কিংবা ভালোবাসা দিবস অথবা একুশে ফেব্রুয়ারি; একবার বইমেলায় না এলে কোনো দিবসই যেন জমে ওঠে না। বইপ্রেমীদের অনেকেই এসব দিবসকে কেন্দ্র করেই সাজিয়ে নেন পরিকল্পনা, প্রস্তুত রাখেন বইয়ের তালিকা।
বসন্তবরণের অপেক্ষায় যখন দেশবাসী, তার আগের দিন সোমবারেও বইমেলায় অনেককে দেখা গেছে বাসন্তী সাজে ঘুরে বেড়াতে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কেবল উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার অপেক্ষা।
অনেকেই এসেছেন শিশুসন্তানসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে। আবার কিশোরীদের দলও দাপিয়ে বেড়িয়েছে সোমবারের মেলা প্রাঙ্গণ। বাদ ছিলেন না কপোত-কপোতীরাও।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পহেলা ফাল্গুনে ভিড় বেশি থাকবে। তাই আগের দিন একটু সাচ্ছন্দ্যে ঘুরে নিচ্ছেন। তাই বলে ফাগুনের প্রথমদিনও তারা বইমেলা প্রাঙ্গণ মাড়াবেন না, তা নয়।
তাবাসসুম চৌধুরী নামে এক প্রবাসী এসেছেন তার কন্যাশিশুকে নিয়ে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পহেলা ফাল্গুনে ভিড় বেশি হবে, তাই কন্যাকে নিয়ে এসেছি। কাল বেরুবো কাজিনরা।
আহমেদুল হক নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মেলার পরিবেশ দেখতে এসেছি। মঙ্গলবার এসে কিছু বই কিনবো।
প্রকাশনীগুলোও মুখিয়ে আছে। প্রকাশনা মহৎ পেশা হলেও, ব্যবসাটাও প্রয়োজন। তাই তারা উৎসবের দিনগুলোর জন্য মুখিয়েই থাকেন। সেবা প্রকাশনীর ম্যানেজার আব্দুল সালাম বলেন, পহেলা ফাল্গুনের অপেক্ষায় সবাই। মেলায় প্রথম ভিড় হয় এদিনে। আশা করি ভালো বিক্রি হবে। ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়বে বইমেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ