কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দর্শনার্থীরা স্টলে এলেও বই উল্টে-পাল্টে দেখে ফিরে যাচ্ছেন। তবে মেলা প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করতে আসা লোকজনের সংখ্যাই বেশি।
অবশ্য কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, বরাবরের মতো হয়তো মেলার শেষ দিকেই বই কিনবেন পাঠকেরা। নেশায় যারা বইপড়ুয়া, তারাও মেলার শেষভাগে এসে বই কিনবেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও রাষ্ট্র’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট অধ্যাপক ড. এ এম মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনজুর আহমেদ।
সন্ধ্যায় মূলমঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বহ্নিশিখা’ এবং ড. শায়লা নাসরিনের পরিচালনায় সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মঞ্চ মাতায়।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার ১৩তম দিনে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘নারীর নিরাপদ পরিসর ও পরিবেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নারী নেত্রী খুশী কবির। আলোচনায় অংশ নেবেন নারী ও মানবাধিকার নেত্রী ড. সুলতানা কামাল, হোসনে আরা শাহেদ, নূরুন্নাহার মুক্তা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আয়েশা খানম। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/