মেলার ১৬তম দিন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শিশুদের পছন্দের তালিকায় কোন বই বেশি, জানতে চাইলে প্রায় সব প্রকাশনী থেকেই জানানো কার্টুন আর গল্পের বইয়ের কথা। তবে এর বাইরেও আছে বেশ কিছু কল্পকাহিনী আর তথ্য নির্ভর বইয়ের চাহিদা।
এ ব্যাপারে মেলা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা আশিক আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে এবার শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের নতুন বই এসেছে। তবে মানচিত্র নিয়ে করা হয়েছে একটি নতুন সিরিজ বই। যেখানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানচিত্র নিয়ে দেশটি সম্পর্কে শিশুদের উপযোগী করে গল্পের ছলে আলোচনা করা হয়েছে। এ বইটির বিক্রি বেশ ভালো।
অনেকেই বলে থাকেন শিশুদের জন্য নতুন লেখক হচ্ছে না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু গ্রন্থ কুটিরের প্রকাশক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিশুদের উপযোগী যথেষ্ট নতুন বই বাজারে আসছে। নতুন লেখকরা বেশ আগ্রহের সঙ্গেই শিশুদের জন্য নতুন নতুন লেখা লিখছেন। শিশুরা তা পছন্দও করছে, অভিভাবকরাও বলছেন ভালো।
তবে শিশুপ্রহরেও বই বিক্রি করে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বিভিন্ন প্রকাশক। তাদের মতে মেলা ১৬ দিনে গড়ালেও আনুপাতিক হারে অন্যবারের তুলনায় এবারে বিক্রি কম। এমনকি শিশুপ্রহরের দিনও তা সন্তুষ্টজনক নয়।
এ ব্যাপারে আরো, ঘাসফুল, ইকরি-মিকরিসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্মকর্তারা জানান, শিশুপ্রহরেও মেলায় বিক্রি কম। অন্যবারের তুলনায় এবার মেলা জমতে বেশ সময় নিচ্ছে। এটা ঠিক যে মেলায় এবার জনসমাগম প্রচুর, কিন্তু সেখানে পাঠকের থেকে দর্শনার্থী বেশি। তবে খুব শিগগিরই এ খরা কেটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে অভিভাবকরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে অন্যবারের তুলনায় এবারে মেলায় জনসমাগম যেমন আছে, তেমনি সবাই বই কিনছেন বিপুল আগ্রহে। প্রিয় সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন তাদের প্রিয় বই।
এ ব্যাপারে অভিভাবক আমিরুল ইসলাম বলেন, শিশুরাতো সবসময়ই গল্প-কার্টুন ভালোবাসে। সেই বইগুলো যেমন তাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি জানার জন্য তুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন তথ্যমূলক বইও। আর এবারে মেলায় আসা বইগুলোও বেশ দারুণ। কনটেন্টের সঙ্গে বইয়ের মান আর কাগজের মানও বেশ ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস