আর এজন্যই মেলার এ অংশটায় এসে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে চলছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ১৮তম দিনেও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ।
এদিন দেখা গেছে দুপুর ২টা থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন মেলার প্রবেশ পথগুলোতে। তাদের দাবি বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা অনেক কম সময়। এজন্য কোনো সময় নষ্ট করতে রাজি নন তারা।
নারায়ণগঞ্জ থেকে পছন্দের বই কিনতে মেলায় এসেছেন শাহ জামান ও রিজভী আহমেদ নামের দুই বন্ধু। তারা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুপুর ২টা থেকে মেলার গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমরা দু’জন ২২টি বই কিনবো। এজন্য মেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ভেতরে এসেছি।
নতুন প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় বইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা আগের মতো নেই। কমেছে কাগুজে বই পড়ার ইচ্ছা। কোনো কিছু জানার দরকার হলেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমাধান মেলে।
কিন্তু কাগুজে বই হচ্ছে পড়ার সবচেয়ে প্রাচীন ও উপযুক্ত মাধ্যম। জ্ঞানের আধার বইয়ের মধ্যেই পৃথিবীর সব জ্ঞান ঘুমিয়ে থাকে। পাঠক বইয়ের পাতা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমন্ত জ্ঞান জেগে ওঠে বলে মনে করেন মেলায় ঘুরতে আসা গৃহিণী টুম্পা বড়ুয়া। এজন্য বইয়ের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টুম্পা বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে বই কেনার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে। বই পড়ার আনন্দ ইন্টারনেট দিতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসআইজে/জেডএস