কিন্তু বাস্তবের গোয়েন্দারা? সত্যিকারের অপরাধীকে খুঁজে বের করতে নিজেদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ও সূক্ষ্ম বুদ্ধিই তাদের একমাত্র ভরসা। তুচ্ছ কোনো সূত্র ধরে গোয়েন্দারা ধীরে ধীরে উন্মোচিত করেন অপরাধের জটিল জাল, অতি ধূর্ত অপরাধীও পরাজিত হয় আরো শাণিত বুদ্ধির কাছে।
আন্ডারওয়ার্ল্ড, খুন, অপরাধ আর চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্যোন্মোচন নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন ছাপা হয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে। যা ইতোমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে পাঠক মহলে। আর সেসব প্রতিবেদনের ১৫০ পর্বের গোয়েন্দা কাহিনী নিয়েই লেখকের প্রথম বই ‘গোয়েন্দা কাহিনী’।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অন্বেষা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেছে শাকিরস্ ক্রিয়েশন। মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, “গোয়েন্দা কাহিনীর সবগুলো ঘটনাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। ফলে কল্পকাহিনীর তুলনায় পাঠক এ কাহিনীগুলোর মধ্যে বেশি অ্যাডভেঞ্চার পাবে। চঞ্চলতা ও রুদ্ধশ্বাস খুঁজে পাবে বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায়। আর তা বাংলাদেশের পরিমণ্ডলে হওয়ায় আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমনি জানা যাবে এদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা সম্পর্কেও। ”
যদিও গোয়েন্দা কাহিনিগুলো কিশোর-কিশোরেরা বেশি পছন্দ করে, তবে এ বইয়ের পাঠক প্রায় সবাই। বইটির মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি উপকার পাবেন সাংবাদিকেরাও, যোগ করেন মির্জা মেহেদী তমাল।
তিনি বলেন, নারী সমাজ ঘরে বসেই এ বইয়ের মধ্য দিয়ে দেখতে পাবেন তাদের ভাবনার বাইরের আলাদা এক জগৎ। পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার ও পুলিশি কর্মকাণ্ডসহ অপরাধীদের বিভিন্ন বিষয়ের সম্পর্কে জানতে ঢুঁ মারতে পারবেন সব শ্রেণীর পাঠক। কেননা বইটি রহস্যের জাল উন্মোচন করার আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের করে তুলবে সচেতন।
লেখক মির্জা মেহেদি তমাল বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ