বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আড্ডার ঠিকানা হয়ে ওঠে অমর একুশে গ্রন্থমেলার দুই প্রাঙ্গণ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের মেলা ঘুরে তারা আড্ডা জমান কালি মন্দির অথবা একাডেমির পুকুর পাড়ে।
আজমাইন বাংলানিউজকে বলেন, এটাতো স্রেফ মেলা নয়, আমাদের জন্য একটা উৎসবও। প্রতিদিন বিকেল হলেই বন্ধুরা মিলে এখানে চলে আসি। মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে কেমন যেন একটা উৎসবের আমেজ থাকে, তাই। সবার সঙ্গে দেখাও হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলার প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এ মেলা যে কেবলই বই বিক্রি-বাট্টার মেলা, তা নয়। মেলাকে ঘিরে জমে ওঠে আড্ডা। রাজধানীর কারো কারো বিকেল থেকে সন্ধ্যার ঠিকানা হয়ে ওঠে অমর একুশে গ্রন্থমেলার এ প্রাঙ্গণ। বন্ধু বান্ধব আর পরিবারের সঙ্গেও এসময় জমে ওঠে আড্ডা খোশগল্প। সে গল্পের রোমান্টিক চরিত্র হয় যুগল বন্দি তরুণ-তরুণীও।
একাডেমির নতুন ভবনের সামনে পুকুর পাড়ে, লিটল ম্যাগ চত্বরে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের আশপাশে ও কালি মন্দিরের পুকুর পাড়েও থেমে নেই এ আড্ডা। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয় উঠে আসছে তাদের আড্ডায়। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনি আলোচিত হচ্ছে মেলায় নতুন কি বই এলো, কি বই কেনা যেতে পারে, লেখকরা কেমন লিখছেন ইত্যাদি। অনেকের কাছে বই আর আড্ডার মধ্য দিয়েই যেনো কেটে যাচ্ছে গ্রন্থমেলার দিনগুলো।
কথা হয়, তরুণ কবি তুহিন তাওহিদের সঙ্গে। প্রতিদিন মেলা আসেন তিনি। বলেন, বর্তমানে তো ঠিকানা হয়ে উঠেছে প্রাণের এ মেলা। তাই প্রাণের তাগিদেই সবার উচিত একবার এসে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে যাওয়া প্রাণের বইমেলায়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করা হয় বিকেল ৩টায়। সে সময় থেকেই মুখরিত এ মেলায় এমন অনেক আড্ডারুর দেখা মিলেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেসব আড্ডায় যোগ দিতে আর বই কিনতে বাড়ে লোকজনও। সৃষ্টিশীল সেসব প্রাণের উচ্ছ্বাস-আনন্দ মিলনমেলায় পরিণত হয় বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণ, অধুনা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ