অনেক বাতির বাসনায় জর্জর শহরের গল্প এ নয়। গ্রামীণ রাত্রির ভাষায় তাকে পাবে।
বিস্মৃতির এই ভাষার কথক কবি ফারুক ওয়াসিফ। বইমেলায় তার কবিতার বই ‘বিস্মরণের চাবুক’ পাওয়া যাচ্ছে আগামী প্রকাশনীর স্টলে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সৈয়দ লতিফ হোসাইন।
কেবল বিস্মৃতির চাবুকই নয় একই প্রকাশনীর স্টলে রয়েছে ফারুক ওয়াসিফের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘জীবনানন্দের মায়াবাস্তব’।
আকাশের ওপারে আকাশের মতো, জীবনানন্দের ভেতরে আরো আরো জীবনানন্দের উন্মোচন হয়তো বাংলা কবিতার অন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। আধুনিকতাবাদী নজরে এ জীবনানন্দ অচেনা। বেশিরভাগ সমালোচক তাঁকে নির্জনতা, বিষাদ, মৃত্যু ও ব্যর্থতার কুয়াশায় ঢেকেই দিয়েছেন প্রায়। দাশকবির কাব্যজগতকে দেখার এসব অভ্যাসকে প্রশ্ন করা হয়েছে এই বইয়ে।
বাংলার নন্দনের শক্তিশালী উপাদান ‘মায়া’র দাবি নিয়ে হাজির তিনি। এই মায়া ‘ইল্যুসন’ না, হারানোকে ফিরে পাবার টান। বিষাদের কবি তিনি, অবসাদের নন। অনুভূতির মহাফেজখানা তাঁর কাব্য। বিজ্ঞানে একধরনের সত্য খোঁজা হয়, শিল্পে তা খোঁজা হয় শিল্পীর কল্পনামনীষার নিয়মে। ‘বনলতা সেন’ ইতিহাসের সেই মনের মানুষ, যে ইতিহাসের সঙ্গে প্রেম ও বিরহ এই কবির। নারী ও সময় যেন তাঁর কবিতাকে মাধ্যাকর্ষ ও মহাকর্ষ বলের মতো টানে।
বিদিশা সম্প্রদায় যেভাবে তার আদিপুস্তকের কাছে ফেরে, রূপসী বাংলার কাছে সেভাবে ফিরে ফিরে আসবে নোঙর হারিয়ে ফেলা মানুষ, বিচ্ছিন্নতায় ব্যথিত মানুষ। ‘কবিরে পাবে না তার জীবনচরিতে’ এই কথাটি মান্য করে জীবনানন্দের কবিতার সাক্ষ্যেই খোঁজা হয়েছে জীবনান্দের কল্পনাপ্রতিভার ঠিকানা। কবিতার পাঠককে কম পরিচিত পথে টানবে জীবানানন্দের মায়াবাস্তব বইটি।
এ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আব্দুল হালিম চঞ্চল
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমজেএফ