নান্দনিক আর সৃজনশীল বই প্রকাশে নতুন প্রকাশকরা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এবছর মেলায় প্রায় ৩৫টি নতুন প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।
জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত মানুষগুলো একজনের জ্ঞান প্রকাশনার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকের মধ্যে। প্রাণের টানে জড়িয়ে যাচ্ছেন প্রকাশনার সঙ্গে। নতুন প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো এমনটাই।
আদিত্য অনিক প্রকাশনীর প্রকাশক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রকাশনা একটি মনন শিল্প। এটি হৃদয়ের খোরাক মেটাবার সঙ্গে জড়িত। এতে বাণিজ্যিক বিষয়টা কম। এছাড়া পাঠকদের আগ্রহ আছে নতুন প্রকাশনীর এ বইগুলোর প্রতি। বিক্রিও বেশ। নতুন হিসেবে অনেক শিখছি, অভিজ্ঞতা লাভ করছি, যা আগামীতে আরো উপকারে আসবে বলে আশা করছি।
মনন শিল্পের পাশাপাশি বইয়ের মানের বিষয়েও বেশ নজরদারি রয়েছে নতুন এ প্রকাশকদের। গল্প, উপন্যাস, কবিতার পাশাপাশি আনছেন অনুবাদ, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ আর বিভিন্ন গবেষণা গ্রন্থও। অগ্রাধিকার দিচ্ছেন নবীনদের।
এ ব্যাপারে জলছবি প্রকাশনীর প্রকাশক নাসির আহমেদ কাবুল বলেন, আমরা নবীনদের লেখা বেশি প্রকাশ করছি। নবীনরা সবসময়ই চায় ভালো কিছু করতে। সেদিক থেকে আমরা বইগুলোও মানসম্মত করার চেষ্টা করি। বইয়ের কাভার, কাগজ, ছাপার দিকে সবসময়ই নজরদারি থাকে বেশি।
পাঠকেরাও জানালেন তেমন কথাই। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক আহমেদ বলেন, বইয়ের ছাপা, বাঁধাই, কাভার, কাগজের মানের দিক থেকে অন্যদের তুলনায় বেশ ভালো করছে নতুন প্রকাশনীগুলো। কিছু কিছু প্রকাশনী অনেক ভালো বই আনছে। বইয়ের গুণগত মানেও সেগুলো বেশ এগিয়ে।
এবারের বইমেলায় নতুন প্রকাশনীগুলো সব একসঙ্গে স্টল পেয়েছে মেলা প্রাঙ্গণের পশ্চিম দিকে। এতে পাঠক কম পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন কিছু কিছু প্রকাশনীর প্রকাশক। ইন্তামিন প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী এসএম ইউনুস বলেন, নতুন প্রকাশকদের একপাশে একসঙ্গে না দিয়ে পুরনোদের সঙ্গে বিন্যাস করলে সুবিধা হতো। নতুন লেখকরা আরো বেশি পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারতেন।
এ প্রসঙ্গে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল বলেন, প্রতিবছরই নতুন প্রকাশকদের একসঙ্গে রাখা হয়। পরবর্তী বছর থেকে তারাও স্টল বিন্যাসে পুরনোদের পাশে পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এইচএমএস/এএ