জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এর আগেও চারবার রক্ত দিয়েছি। আমি মনে করি প্রতি চার মাস অন্তর প্রত্যেক মানুষের রক্তদান করা উচিত।
শুধ তানভীর নয়, মানুষের জীবন রক্ষায় এভাবে আরো অনেকে গ্রন্থমেলায় এসে বই কেনার পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের উত্তর ও দক্ষিণ দু’টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। দু’টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২০০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছে।
মেলার প্রস্থান পথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ পাশে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ব্লাড ব্যাংক চালু করে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। এক হাজার ব্যাগ টার্গেট নিয়ে চালু করা এই বুথে এরইমধ্যে ৯৪০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মেলার শুরু থেকেই আমরা সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করেছি। আশা করছি আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারবো।
এছাড়াও উত্তর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন বিভাগের এই কার্যক্রমে রক্ত দান করেছেন ২০০ জন। বুথের তত্ত্বাবধানে থাকা সুব্রত বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রক্তদানে সবাইকে উৎসাহিত করছি। মুমূর্ষ রোগীদের জন্য অনেক সময় রক্ত দেওয়ার কেউ থাকে না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা।
এখানে বিনামূল্যে প্রায় ২ হাজার জনের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রক্ত দিতে আসা অনেকের বিভিন্ন ধরনের রোগের ব্যাপারেও বুথের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মেলায় পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল জোবায়ের বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুধু পুলিশের খারাপ দিক দেখি। কিন্তু তাদের ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করি না। আমাদের উচিত হবে তাদের এ ধরনের ইতিবাচক কাজে প্রশংসা করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস