মেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে দেখা যায় স্টলে স্টলে ডিজাইনের বৈচিত্র্য। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ধূলি-বালির উৎপাতকে উপেক্ষা করে পাঠকদের বইয়ের প্রতি আগ্রহের কোনো কমতি ছিলো না। স্টলে স্টলে গিয়ে পাঠকরা নেড়েচেড়ে দেখছেন বই। অনেকে খোঁজ করছেন প্রিয় লেখকটির বই এসেছে কি-না! এছাড়া একাডেমির নিজস্ব প্যাভিলিয়ন ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে-মেলা শুরুর আগেই স্টল তৈরির বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও মেলার দ্বিতীয় দিনেও বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা তাদের স্টল চালু করতে পারেনি।
নতুন বইয়ের সুবাসিত ঘ্রাণের দেখা মেলেনি বেশকিছু প্রকাশনা সংস্থার স্টলে। সেই সঙ্গে মেলার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, স্টলের নির্মাণ সামগ্রীর অবশিষ্টাংশ। এখনও চলছে স্টলগুলো সাজিয়ে তোলার কাজ।
সহপাঠীদের নিয়ে মেলায় এসেছেন জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সায়েকা শীলা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, মেলার শুরুতেই বই কিনবো বলে এসেছি। কারণ শেষের দিকে ভিড় বেড়ে যায়। এখন প্রতিটা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখে বই কিনতে পারবো। আমরা কয়েক বন্ধু আসছি। আরও কয়েক দিন আসবো। মেলাতে বই কিনলে একটা সুবিধা হলো লেখকের অটোগ্রাফ নেওয়া যায়। তবে মেলাতে আসার পর সমস্যা হচ্ছে এখানে প্রচুর ধুলা; মাস্ক ছাড়া হাঁটা যায় না। তারপরও বইমেলাতে না আসলে মন ভরে না।
প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্য প্রকাশ’র প্যাভিলিয়নের সামনে এর স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মেলার পরিধি গতবারের থেকে বাড়তি পাওয়ায় মেলা বেশ খোলামেলা পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য পাঠকরা বই দেখে কিনতে পারবে। স্টল বিন্যাস ও মেলার সার্বিক সাজ-সজ্জায় এসেছে নতুনত্ব। মেলা পাঠকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সাজানো হয়েছে। ফলে ভিড়ের বিড়ম্বনা সহ্য করতে হবে পাঠকদের। আশা করছি, এবারের মেলা অনেক ভালো হবে।
এদিন গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের রবীন্দ্র চত্বরে অবস্থিত মেলার মূলমঞ্চে ‘বিজয়: ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়। ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন।
আলোচনায় অংশ নেন লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী এবং গবেষক মোফাকখারুল ইকবাল। শুক্রবার (০১ ফেব্রুয়ারি) মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
জিসিজি/এমএ