সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণে এমনটাই বলছিলেন পাঠক ও প্রকাশকরা। সে কথার প্রমাণ মেলে নতুন বইয়ের হিসাব করলেই।
মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে হুমায়ূন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল হক, শওকত ওসমান, আহমদ সফা, শাহাদুজ্জামান, মহাদেব সাহা, আনিসুজ্জামানসহ বিশিষ্ট লেখকদের গতবছর বা তার আগে প্রকাশিত বই কিনছেন তারা। তাদের মতে, নতুন যেসব বই মেলায় আসছে, তা থেকে ভালো বইটা বেছে নিতে আরো একটু সময় লাগবে।
এ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তাহমিনা আহমেদ বলেন, মেলায় এবছর প্রচুর নতুন বই আসছে। এতো বইয়ের ভেতর থেকে কোনটা ভালো, সেটা নির্ণয়ের জন্য একটু সময় তো লাগবে। তাই সেই সময়টুকু পার করতেই এখন পুরনো বইয়ের দিকে দৃষ্টি।
তিনি বলেন, এখন নতুন যেসব লেখক আসছেন, তারা অনেক ভালো লিখেছেন, লেখাপড়া করে লিখছেন এটা ঠিক। তবে সবাই তো আর এক নয়। নতুনদের পাশাপাশি ভালো লেখকদের নতুন বইও আসছে। তবে কোনটা মানসম্মত আর কোনটার মান একটু কম, সেটা এখন বোঝা যাবে না। সেই বইগুলো আলোচনায় আসার জন্য আরো কিছুটা সময় প্রয়োজন। আর ততক্ষণ পুরনো বই বা গতবার বইমেলায় যে বইগুলো ভালো করেছে, সেগুলোর দিকেই দৃষ্টি।
প্রকাশকরাও জানালেন তেমন কথাই। মেলা প্রাঙ্গণে ঐতিহ্য, অন্বেষা, কাকলী, প্রথমা, অনন্যা, ইত্যাদি, ঘাস ফুল নদী, সময়, অন্য প্রকাশসহ একাধিক স্টলে ঘুরে বইয়ের বিকিকিনি সম্পর্কে কথা হলে তারা জানান, নতুন বইয়ের তুলনায় বিগত বিভিন্ন বছরে প্রকাশিত বইগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে নতুন যে বইগুলো এসেছে সেগুলোর বিক্রিও খারাপ নয়।
এ ব্যাপারে অবসর প্রকাশনীর কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও মাওলা ব্রাদাসের কর্মকর্তা শাহিন শিকদার বলেন, এবারের মেলায় এখন পর্যন্ত বা প্রায় প্রতিবারই মেলার প্রথম দিকের সময়টাতে বিগত বছরের বইগুলো বেশি বিক্রি হয়। নতুন বইগুলো আসতে একটু সময় নেওয়াতেই এসময় পাঠকদের নজর পুরনো বইয়ে থাকে। এছাড়া পাঠকরা বইগুলোর সঙ্গে একটু বোঝাপড়াও করতে চান। তবে প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নতুন বইগুলো এসে গেলে পাঠক সেদিকেই ঝুঁকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/এএ