শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই মেলায় প্রবেশের সমস্ত পথে ছিল দীর্ঘ লাইন। সকালের শিশুপ্রহরে শিশুরা আর সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরুলে সব বয়সী মানুষের লাইন আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
ছুটির দিন বিকেলের সেশন শুরু হতেই কানায় কানায় ভরে যায় মেলার সমস্ত আঙ্গিনা।
বগুড়া থেকে ছোট বোন ইতিকে সঙ্গে নিয়ে বইমেলা এসেছেন দিলরোজ আফরোজ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রবেশ করতে পেরেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কথা হলে বলেন, ঘুরে ঘুরে অনেকগুলো বই কিনবো বলে ভেবে রেখেছি। মেলায় এসে বইপ্রেমী এতো মানুষ দেখে দারুণ লাগছে।
এদিকে বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশি লেখক ও বিক্রেতারা। এ বিষয়ে সময় প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, ফাগুনের প্রথম দিন থেকেই তো মেলার রূপ বদলে গেলো। এখন পাঠক আসছেন, আর যারা আসছেন সবাই বই কিনছেন। অনেকেই নতুন বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। তালিকা করে জমিয়ে রাখছেন আজ-কালের মধ্যে কিনতে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সার্বিক বিষয়ে মেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, মেলার মধ্য সময় পার হয়েছে। মেলার যে সত্যিকার রূপ, এখন তাই দেখা দিয়েছে। এ ধারা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এইচএমএস/এএ