বাংলানিউজকে জোবায়ের বলেন, বইমেলার প্রতি অন্যরকম আবেগ কাজ করে। দূরে থাকায় প্রতিদিন আসা সম্ভব হয় না।
শুধু জোবায়ের নয়, সপ্তাহে ছয়দিন কর্মদিবসে ব্যস্ত থাকা মানুষদের বইমেলায় আসার সুযোগ মেলে শুক্রবার ছুটির দিনে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই সব বয়সী মানুষের ঢল নামে মেলার বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের পদচারণ মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিটি স্টলে স্টলে পছন্দের বইয়ের খোঁজ করছেন তারা।
কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা পরিবারের সঙ্গে।
রামপুরা থেকে ছোট ভাই তালহাকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ হাসান। কিনে দিয়েছেন অধ্যাপক জাফর ইকবালের শিশুতোষ বই। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বইয়ের প্রতি টান বাড়াতে তাকে নিয়ে আসা। তার পছন্দমতো বইটা কিনে দিলাম।
ছুটির দিনে তুলনামূলক বেশি বিক্রি হয় বই। যার কারণে অধিকাংশ প্রকাশনীকে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। বই কেমন বিক্রি হচ্ছে জিজ্ঞেস করতেই অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী পলাশ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন বইয়ের চাহিদা কেমন। আজকের দিনে সবচেয়ে বিক্রি বেশি হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদের পাশাপাশি হরিশংকর জলদাসের প্রস্থানের আগে এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের বই বিক্রি বেশি হচ্ছে।
**প্রাণ ফিরছে প্রাণের মেলায়
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এসএইচ