শনিবারও (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেলা ১১টায় গ্রন্থমেলার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত হতেই অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা পছন্দের বইয়ের খোঁজে মেলায় প্রবেশ করে।
এদিন শিক্ষকদের সঙ্গে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মেলায় এসেছে। রাজধানীর উদয়ন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাইহান বাংলানিউজকে বলেন, অন্য সময় মেলায় প্রচণ্ড ভিড় থাকে। শিশুপ্রহরে একটু হলেও শান্তিমতো ঘোরা যায়। বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই কেনার কথা জানায় সে।
ব্যাংক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা তার ছয় বছরের শিশু রাইসা জান্নাতকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। রাইসা শিশুচত্বরের মঞ্চে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে যখন খেলছিল তখন তার মা নাসরিন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাভাষাই আমাদের প্রাণ। যদিও মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছি। তবে পারিবারিকভাবে আমরা বাংলাভাষার চর্চা করি।
অন্যদিকে বিকেল তিনটার পর বড়দের পদচারণা শুরু হয় গ্রন্থমেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল বলেন, বইমেলায় আসা হয় বেশ কয়েকবার। উপন্যাসই বেশি পছন্দ। এছাড়া নতুন লেখকদের মানসম্পন্ন বই হলে কিনবো।
অবসর প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী সজিব বাংলানিউজকে বলেন, সকালে শিশুতোষ বই বিক্রি হয়েছে। বিকেলে সব বয়সী মানুষের ভিড় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস