বইয়ের প্রতিটি ঘটনাই সত্য। কী কারণে কারা সম্ভাবনাময় তরুণদের বিপথে নিয়ে আসে এবং তাদের পরিণতি শেষমেষ কোথায় দাঁড়িয়েছে-তার সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে।
বাংলাদেশের ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ এ প্রকাশিত হওয়ার সময়ই বিপুল সাড়া জাগিয়েছে পাঠকদের মধ্যে। তারই মধ্য থেকে নির্বাচিত অপরাধ কাহিনীগুলো পাঠকদের জন্যে একত্রিত করা হয়েছে এই বইয়ে। এটি লেখকের দিতীয় বই।
বইয়ের লেখক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক যিনি পত্রিকাটির অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টিং বিভাগের প্রধান মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, কোনো মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। এ বইয়ে যাদের কথা বলা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্ন চরিত্রের অধিকারী ছিলো। এদের অনেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলো। বুদ্ধি ও মেধা সম্পন্ন ছিলো। একজন তো সংগীতের মতো বিশুদ্ধ শিল্পেরও চর্চা করতো। কেউ ছিলো উদীয়মান খেলোয়াড়।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এমনই এক পাপচক্র সৃষ্টি করেছিলেন যে, ক্ষমতায় গেলে তারা ক্ষমতা চিরস্থায়ী রাখার প্রয়োজনে তরুণ ও যুব সমাজের একটি অংশকে পরিণত করে ‘অপরাধী’ এবং দানবসদৃশ সন্ত্রাসে। রাজনীতির জুয়া খেলায় সৃষ্টির হাতে শ্র্রেষ্ঠা যেমন ধ্বংস হয়, সৃষ্টিরও ধ্বংস হয় স্বাভাবিক নিয়মে। রাজনৈতিক অঙ্গন যদি পরিচ্ছন্ন হয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যদি জারি থাকে তা’হলে সম্ভাবনাময় কিছু তরুণ প্রাণকে এভাবে জীবন দিতে হতো না। কিংবা জনপ্রিয় নেতারাও নিহত হতেন না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, আছেন কিংবা যাবেন তাদের অবশ্যই ভাবা দরকার। বইয়ে এ বিষয়টি ছাড়াও যুব ও তরুণ সমাজের প্রতি বড় একটি ম্যাসেজ যে, অপরাধ জীবন কখনও শান্তির হতে পারে না। এর পরিণতি অত্যন্ত নির্মম নিষ্ঠুর।
বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন। মেলার ১৮ নাম্বার প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। ৯৬ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
ইএআর/এএটি