বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অপূর্ব খন্দকার। এটি পাওয়া যাচ্ছে দোয়েল প্রকাশনীর ২০৫ নম্বর স্টলে।
বইটি প্রসঙ্গে লেখক রেজাউর রহমান রিজভী বলেন, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবের প্রসারের ফলে বর্তমানে দেশে প্রচুর নাটক নির্মিত হচ্ছে। তবে নাটকের ভালো গল্প ও স্ক্রিপ্টের অভাব রয়েছে। অনেকের আগ্রহ থাকলেও প্রপার গাইডনেসের অভাবে নাট্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে যে কোনো নাটকের বই-ই হতে পারে একজন নাট্যকার হতে আগ্রহী ব্যক্তির জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একুশে বইমেলায় মঞ্চনাটকের বই সীমিত পরিসরে হলেও প্রতিবছরই নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তবে সে হিসেবে টেলিভিশন নাটকের বই খুব বেশি পাওয়া যায় না। এই বইটিতে আমার লেখা তিনটি টেলিভিশন নাটক রেখেছি। এক পর্বের বা খণ্ডনাটক হিসেবে লেখা এই নাটক তিনটি হলো ‘অপেক্ষা’, ‘ইজ্জতের সওয়াল’ ও ‘ভালোবাসা হারায় না’। তিনটি নাটক তিন ধরনের। গ্রাম ও শহরের গল্পের ভিন্নতাও নাটকগুলো থেকে পাওয়া যাবে। আমি মনে করি এই বইটি টেলিভিশন নাটক লিখতে উৎসাহীদের গাইড হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া বর্তমান সময়ের টেলিভিশন নাটকগুলো লেখার সম্যক ধারণাও তারা এই বইটি থেকে পাবেন।
রিজভীর লেখা অন্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ভালোবেসে চলে যেতে নেই (গল্পগ্রন্থ), ‘আমার গানের খাতা’ (গীতিকবিতা), ‘আরেক বসন্তে’ (গল্পগ্রন্থ), ‘ভালোবাসার অবাক চোখ’ (কবিতা) ও ‘সত্যি! সোরাই’ (গল্প সংকলন)।
রিজভীর লেখা বেশকিছু ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিয়মিত প্রচারিত হয়ে আসছে। এছাড়া অসংখ্য ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটকে তিনি অভিনয় করছেন। সেরা গীতিকার ও নাট্যকার হিসেবে রিজভী পেয়েছেন হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), স্টার অ্যাওয়ার্ড (২০১৭), বাংলার সঙ্গীত স্বাধীনতা স্মারক (২০১৭), বাংলার সঙ্গীত পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’সহ (২০১৭) অসংখ্য সম্মাননা। বর্তমানে রিজভী টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের কার্যকরী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এইচএ/