রোববার (২৪ মার্চ) এমনটাই দেখা গেল বাংলাদেশ শিশু একাডেমির বইমেলা চত্বরে। এদিন আবার বেশ কিছু স্টল বন্ধ থাকতেও দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাতিঘর প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী হাসান মাহমুদ জানান, বইয়ের বিক্রি একেবারেই নেই। তাই হয়তো স্টলগুলো খোলা হয়নি।
মেলায় বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলেন মৌলভিবাজার থেকে আগত সেলিম হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই বইমেলায় এসে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করছে। ভিড়, হৈ-চৈ বা হৈ-হুল্লোড় নেই। বেশ শান্ত পরিবেশ। অনেকটা খোশ মেজাজেই বিভিন্ন বইগুলো সময় করে দেখে নেওয়া যাচ্ছে।
বিকেলে মেলায় আসে শিশু একাডেমির শিশুরা। এসময় সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গে মেতে ওঠার পাশাপাশি তারাও বই দেখেছে নেড়ে-চেড়ে। তবে বই দেখার তুলনায় মূল মঞ্চের সাংস্কৃতিক আয়োজন আর সিসিমপুরটাই বেশি আকর্ষণ করেছে তাদের।
বিকেলে মেলার চতুর্থ দিনে কণ্ঠশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় জাতীয় শিশু পুরস্কার বিজয়ী শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় ছড়াগানের আসর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে একাডেমি চত্বরে আয়োজিত এ মেলা ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বইমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/