ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ছুটির দিনে জমবে বইমেলা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
ছুটির দিনে জমবে বইমেলা মেলায় পছন্দের বই দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: ডি এইচ বাদল

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে বইমেলায় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যাতে। তবে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন প্রাণের এ মেলা তার চিরচেনা রূপে ফিরবে হবে বলে মনে করছেন প্রকাশকরা।

এ বিষয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে মেলা এখনো শুরু হয়নি। বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতায় বলে শুক্রবার বইমেলা জমবে এবং পাঠকের সমাগম হবে।

আর মেলা মূলত পুরোপুরিভাবে জমবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির পর।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ-বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৮টি। এরমধ্যে বাংলা একাডেমি থেকে নূহ-উল-আলম লেলিনের বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই ‘রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও কলকাতায় শেখ মুজিব’, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে নিলয় নন্দীর অতিপ্রাকৃত গল্পের বই ‘ছায়াময়’, রঞ্জন হালদারের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘পদ্মদিঘীর মুক্তা’, আহমেদ রিয়াজের ‘আষাঢ়ে ভূতের খপ্পরে’, আগামী প্রকাশন থেকে আবদুল গাফফর চৌধুরীর ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে মোশতাক আহমেদের ‘জোছনা রাতের জোনাকি’, কথাপ্রকাশ থেকে ড. এম আবদুল আলীমের স্মৃতিকথা ‘ভাষা সংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ’, শোভা প্রকাশ থেকে সৈয়দ শামসুল হকের ‘শ্রেষ্ঠ কিশোর কবিতা’, সঞ্জীদা খাতুনের প্রবন্ধের বই ‘রবীন্দ্র কবিতার গহনে’, অনন্যা থেকে ফকির আলমগীরের ‘অবহমান বাংলার লোকসঙ্গীত’, অবসর প্রকাশনা থেকে রকিব হাসানের গোয়েন্দা কাহিনী ‘দানব রবিন’ উল্লেখযোগ্য।

বৃহস্পতিবার ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নূহ-উল-আলম লেনিন রচিত রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও কলকাতায় শেখ মুজিব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোহীত উল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসাদ মান্নান এবং সাহেদ মন্তাজ। লেখকের বক্তব্য দেন নূহ-উল-আলম লেনিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ হাসান ইমাম।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত অত্যন্ত চমৎকারভাবে বিধৃত হয়েছে নূহ-উল-আলম লেনিন রচিত গ্রন্থে। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বাঙালি এবং বাংলাদেশ ছিল বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও মননে। কলকাতায় রাজনীতির অভিজ্ঞতা তার পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনের অভিঘাত হিসেবে কাজ করেছে এবং তার রাজনৈতিক আদর্শ ও চেতনাকে শাণিত করেছে। কাজেই বলা যায় বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে হাতেখড়ি মূলত বাঙালির বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জনের পথে অভিযাত্রার সূত্রপাত।

এদিন কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি ইকবাল আজিজ, কবি ঝর্ণা রহমান, কবি ফারুক মাহমুদ, ও কবি মারুফ রায়হান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রেজিনা ওয়ালী, মীর বরকত এবং নাজমুল আহসান। সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, লতিফ শাহ, রুশিয়া খানম ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক জসিম মল্লিক, অনন্ত উজ্জ্বল, হানযালা হান এবং মন্দিরা এষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।