ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

বাঙালির চেতনার উৎস মাতৃভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
বাঙালির চেতনার উৎস মাতৃভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: শহীদ মিনার থেকে স্মৃতিসৌধ। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১। বাঙালি জাতি শিক্ষা নিয়েছে প্রতিবাদে-প্রতিরোধে জেগে উঠবার। এ চেতনার উৎস আমাদের মাতৃভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত শাহজাহান কিবরিয়ার বই ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন।

তিনি বলেন, বাঙালির সংগ্রামমুখর ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আমরা পেয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আমাদের নিরন্তর পথচলার তিনিই প্রদর্শক, শক্তি ও উদ্দীপনার উৎস। সংগ্রামমুখর জীবনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশকেই গড়ে তোলেননি, বিশ্বরাজনীতিতে বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে গেছেন উচ্চতর আসনে। দেশের নেতা হয়ে উঠেছেন বিশ্বের নেতা। সমগ্র জীবন তিনি উৎসর্গ করেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে।

তিনি বলেন, রচনাশৈলী ও ভাষার বুননে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যায় লেখকের নিজস্ব যুক্তি-চিন্তা। এখানে আছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির মহানায়কের প্রতি মুগ্ধতা; যা পড়তে পড়তে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে বঙ্গবন্ধুর অনুপম প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস এবং খালিদ মারুফ। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন শাহ্জাহান কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

গ্রন্থের লেখক বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল সফল রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন মানবিক নেতা। দেশের মানুষের প্রতি তিনি গভীর আস্থা রেখেছিলেন এবং বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। মহান এ নেতা  বাঙালি জাতির বাতিঘরের মতো; যে বাতিঘর জাতিকে সামনে এগিয়ে যাবার পথ দেখাবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, শাহজাহান কিবরিয়া রচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে লেখক বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল দিকগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মোচন করেছেন। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি বাঙালি জাতিকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিলেন এবং হয়ে উঠলেন হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

আলোচনা শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি মারুফুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, শামীম রেজা এবং মাসুদ পথিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজি মাহতাব সুমন, মো. সামসুজ্জামান এবং শামীমা নাসরিন মিতু। সাংস্কৃতিক পর্বে গোলাম মোস্তফা খানের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র’, মানজারুল ইসলাম সুইটের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী’ ও বিশ্বজিৎ রায়ের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নিবেদন’ এর পরিবেশনা উপভোগ করেন দর্শক শ্রোতা।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।