ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

বগুড়া বইমেলায় বেড়েছে শিশু-কিশোরদের ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
বগুড়া বইমেলায় বেড়েছে শিশু-কিশোরদের ভিড় মেলায় দর্শনাথীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় প্রাণের বইমেলা শুরু হয়েছে। একুশে বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা। সঙ্গে মা-বাবা। কখনো তারা দলবেঁধে কখনো একাই মেলা প্রাঙ্গণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলো। পছন্দের বই খুঁজতে খুঁজতে সাজানো বইয়ের পসরা এলোমেলো করে ফেলছিলো। নিজের পছন্দমত বই সংগ্রহ করা নিয়ে তারা এই স্টল সেই স্টল ঘুরে ঘুরে নিজের জন্য বই সংগ্রহ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার পাশে শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় আয়োজিত বইমেলায় গেলে শিশু পাঠকের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে।

বগুড়া বইমেলাকে ঘিরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই ক্রেতা আর বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

সকালের দিকেও ভিড় থাকে। জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সকালে ও দুপুরে বেশি বই কিনছে। যারা বয়স্ক তারা সময় করে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের পছন্দমত কেনাকাটা করছে। মেলায় দর্শনাথীরা।  ছবি: বাংলানিউজছোট বড় ৭৫টি স্টল রয়েছে মেলায়। স্টলগুলোতে ছোটদের বঙ্গবন্ধু, ঠাকুরমার ঝুলি, পরীদের গান, পরীদের গল্প, ছোটদের নীতিকথাসহ বিভিন্ন ধরনের গল্পের বইসহ দেশ বিদেশের বরেণ্য লেখকদের বই পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসহ সব ধরনের বই এখানে পাওয়া যাচ্ছে।

বিভিন্ন স্টলে শিশুদের বইয়ের ওপর দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়। তবে বিদায় মুহূর্তে পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যথারীতি প্রতিদিনের মতো আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখেন মেলায় আগতদের।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অন্য বছরের মতো জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নয় দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে। সহযোগিতায় রয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার ছিল বইমেলার সপ্তম দিন। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ দিন। শেষ মুহূর্তে এসে বিক্রিও বেড়েছে। পছন্দের বই কিনতে মেলায় আসা পাঠক তেমন একটা সময় নেয়নি। শুধু পছন্দ করতে যতটুকু সময়। প্রইমারি স্কুলশিক্ষক বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে মেলায় এসেছিল শিশু আবির।

আবির বাংলানিউজকে বলে, বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে মেলায় এসে অনেক আনন্দ করেছি। মেলায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। পছন্দ মতো কয়েকটি গল্পের বই ও ছড়ার বই কিনেছি। মেলায় দর্শনাথীরা।  ছবি: বাংলানিউজশহরতলীর একটি প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকতার করার কারণে বইমেলা সন্তানদের নিয়ে আসার সময় হয়ে ওঠেনি। আজ বৃহস্পতিবার হওয়ায় দুপুরেই স্কুল থেকে ফিরে সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছি। মেলা থেকে তাদের পছন্দের বই কিনে দেবো।

সামিহা, ইমরান, রণন, তানভীর, জেমি, সানজিদাসহ একাধিক শিশু-কিশোর বাংলানিউজকে বলেন, বইমেলায় বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। অর্ধদিবস স্কুল হওয়ায় তারা বইমেলায় এসেছে। ঘুরে ঘুরে বই দেখছে ও পছন্দ মতো কিনেছে।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার বগুড়া বইমেলায় মুক্তিযুদ্ধ, ছোটদের বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনের বিষয়কভিত্তিক বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার সমাপনী ঘোষণা করা হবে। সমাপনী দিনে দেওয়া হবে সম্মাননা। এছাড়া শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।