ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী বইমেলা। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

বইমেলা থেকে: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করা ও অবরুদ্ধ বাঙালিদের সাহস জোগানোর ক্ষেত্রে এ বেতার কেন্দ্রের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় `স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র' শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কল্যাণী ঘোষ, বুলবুল মহলানবীশ এবং আশরাফুল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন রামেন্দু মজুমদার।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও মুক্তি-সংগ্রামের ক্ষেত্রে ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীরা জানতে ও বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যৌক্তিকতা, কর্মকাণ্ড ও মুক্তিযুদ্ধের বার্তা। দেশবাসীরা আশ্বস্ত হয়েছেন এই ভেবে যে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছে। তরুণরা উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ ও বিশ্ববাসীর জন্য ইতিবাচক বিশ্ব জনমতের জন্য স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সভায় আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তারা বলেন, এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের জরুরি তথ্য পরিবেশন ও বঙ্গবন্ধুর বাণীসহ দেশাত্মবোধক গান, গণসংগীত, কবিতা, নাটক ও নানা উদ্দীপনামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে মুক্তিকামী জনগণ ও অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্ধুদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা তাদের শাণিত শব্দকে হাতিয়ার করে হয়ে উঠেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের এক একজন শব্দসৈনিক।

সভাপতির বক্তব্যে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনন্য সাক্ষী। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করা ও অবরুদ্ধ বাঙালিদের সাহস জোগানোর ক্ষেত্রে এই বেতার কেন্দ্রের অসামান্য ভূমিকার কথা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে হবে।

অন্যদিকে বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন মুম রহমান, মন্দিরা এষ এবং বিধান রিবেরু।
 
সোমবার (২২ মার্চ) অমর একুশে বইমেলার পঞ্চম দিন। এদিন মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।