ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এক অনুপম সংযোজন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এক অনুপম সংযোজন ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

বইমেলা থেকে: বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত সাহিত্যাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ই মার্চের ভাষণ এক অনুপম সংযোজন বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষকরা।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

 

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি, গবেষক ও নাট্যকার তারেক রেজা। আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক ও গীতিকার নাসির আহমেদ, প্রাবন্ধিক খালেদ হোসাইন এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি অসীম সাহা।

প্রাবন্ধিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর সাহিত্যকর্ম যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও অর্জনকে আনুষ্ঠানিকতার ঘেরাটোপ থেকে মুক্তি দিয়ে পাঠকের মগজে মুদ্রিত করে দেয়। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সৌরভ ও সমৃদ্ধিকে জীবনযাপনের সঙ্গে একীভূত করতে চায়। বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে উপস্থিত জনমানসে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ানো নয়, ক্ষমতার দম্ভে শেকড়ের টানকে উপেক্ষা করা নয়, মানুষ্যত্বের সব দুয়ার খুলে দিয়ে মুক্তির আনন্দ সঞ্চারই কালজয়ী সাহিত্যের কাজ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-আশ্রয়ী সাহিত্য আমাদের সেই দর্পণের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়, যেখানে আমরা অতীতের জীবন্ত জলছবি দেখি, বর্তমানকে ইচ্ছের অনুকূলে বিনির্মাণ করতে শিখি এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোকে বুক-পকেটে আগলে রেখে ভাবি- ‘আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। ’

আলোচকরা বলেন, বাঙালির দীর্ঘদিনের মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে। আর মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ও চেতনা ধারণ করে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য নামক নতুন সাহিত্যধারা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বাংলাদেশ যেমন নানা দিক দিয়ে দ্রুত উন্নতির শিখরে এগিয়ে চলেছে, তেমনি আমাদের শিল্প-সাহিত্যকেও সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল রেখে এগিয়ে নিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কবি অসীম সাহা বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সময়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত সাহিত্যের অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ই মার্চের ভাষণ এক অনুপম সংযোজন।

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন হুমায়ূন কবির ঢালী, জয়দীপ দে এবং রাহেল রাজিব। মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠদিন। এদিন মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: মুক্তিযুদ্ধ ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২১
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।