ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

পাঠকের চোখ হুমায়ূন আহমেদে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
পাঠকের চোখ হুমায়ূন আহমেদে ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): অমর একুশে বইমেলার পার হয়েছে আটদিন। প্রথমদিকে মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও ছুটি এবং একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে বিক্রি বাড়ায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন প্রকাশকরা।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মেলার নবম দিনে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ ঘুরে দেখা গেছে, বরাবরের মতো মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে বইপ্রেমীরা মেলায় প্রবেশ করছেন। তথ্যকেন্দ্র থেকে স্টল নম্বর জেনে নিয়ে পছন্দের লেখকের বইয়ের খোঁজ করছেন। লেখকের অটোগ্রাফের সঙ্গে ছবি তুলে জানান দিচ্ছেন, বই সংগ্রহে মুখিয়ে থাকার।

তাম্রলিপি প্রকাশনীর মাহবুবুর রহমান রুমাত বাংলানিউজকে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির দিন বেশি বিক্রি হয়েছিল। আজ (বুধবার) বিক্রি একটু কম।

কোন কোন বই বেশি বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাফর ইকবাল স্যারের ‘আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু’ আর হুমায়ূন আহমেদের পুরনো বইগুলোর চাহিদা বেশি।

ছবি: ডি এইচ বাদল

গৌরব প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মোবাশ্বেরা বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় বিশেষ দিনগুলোতে মানুষের যেমন ভিড় হয় তেমনি বই বিক্রিও ভালো হয়। আজ তুলনামূলক পাঠক-ক্রেতা কম। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো বিক্রি বাড়বে।

বইমেলায় নবম দিনে নতুন বই এসেছে ১২২টি।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বঙ্গবন্ধু-চর্চা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আসলাম সানী, মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং মামুন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।

ছবি: ডি এইচ বাদল

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা। তাই এ তিন ক্ষেত্রে একযোগে অধ্যায়ন ও চর্চা হতে পারে। অভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও হতে পারে। হয়তো একজন সাধারণ মানুষের ঘরেই রয়েছে একটি মূল্যবান দলিল। অথবা একজন সাধারণ নাগরিক সাহায্য করতে পারেন অসাধারণ ইতিহাস রচনায়। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক সংযোগ দরকার। মনে রাখতে হবে এ কাজ কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়, এ দায়িত্ব প্রত্যেক বাঙালির।

আলোচকরা বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বর্তমানে বঙ্গবন্ধুচর্চা গতিশীলতা লাভ করেছে। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুচর্চার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে না পারলে নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে। আশার কথা হলো তরুণ গবেষক ও লেখকরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে গবেষণায় উদ্যোগী হচ্ছেন।

ছবি: ডি এইচ বাদল

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির আত্মপরিচয়ের উৎস। তাই বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য উপস্থাপনের পূর্বে তা সঠিকভাবে যাচাই করে নিতে হবে। তরুণ সমাজের সামনে বস্তুনিষ্ঠ ও অবিকৃত ইতিহাস তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

এদিন ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন ঝর্ণা রহমান এবং খায়রুল আলম সবুজ। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মনজুরুর রহমান এবং মতিন রায়হান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবনী পুতুল, শহীদুল ইসলাম নাজু এবং নাজমুল আহসান। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ পরিচালিত আবৃত্তি সংগঠন ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’, সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’ এবং ‘শিল্পীবৃত্ত’-এর পরিবেশনা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এসকেবি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad