ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিনে বইমেলার মূলমঞ্চে রোবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘জন্মশতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি: সত্যজিৎ রায়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মইনুদ্দীন খালেদ।
প্রাবন্ধিক বলেন, সত্যজিৎ রায় কিশোর বয়স থেকেই চলচ্চিত্রের রসাস্বাদন শুরু করেন। চলচ্চিত্র-বিদ্যায় তিনি শিক্ষিত ও দীক্ষিত হয়েছেন চলচ্চিত্র বিষয়ে গ্রন্থ পাঠ করে। সুখ-দুঃখের পালাবদলে বিবৃত হয়েছে তার চলচ্চিত্রিক গুণমণ্ডিত পথের পাঁচালীর কাহিনি। মানুষ-প্রকৃতি, নিসর্গ-প্রকৃতি ও অন্যান্য প্রাণিকুলের সমন্বিত ভাষ্য পথের পাঁচালী। সত্যজিতের দৃশ্য পরিকল্পনায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো একটি ক্ষুদ্র বা ছোটো অনুষঙ্গ থেকে ক্রমান্বয়ে ব্যাপ্ততর পটভূমে প্রবেশ। শব্দ ও চিত্রকে উপরিতলের রূপ থেকে মুক্ত করে গ্রাফিক্সের সূক্ষ্মতর ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সত্যজিৎ অভুতপূর্ব সার্থকতার পরিচয় দিয়েছেন।
আলোচকরা বলেন, মহৎ শিল্পীরাই চলচ্চিত্রে দৃশ্যের পর দৃশ্য জাদুকরি মুহূর্ত তৈরি করতে পারেন। সামগ্রিকভাবে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র ও অন্যান্য শিল্পকর্ম বিবেচনা করলে দেখা যায় সর্বক্ষেত্রে তিনি যে জাদুময়তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তা শিল্পবোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষকেও মন্ত্রমুগ্ধ করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ম. হামিদ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের একজন মহীরুহ সত্যজিৎ রায় তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন সাহিত্য, সংগীতসহ আরো নানা ক্ষেত্রে। বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অশেষ গৌরবের বিষয়।
এদিকে বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন আমিনুর রহমান সুলতান এবং মোস্তাক আহমাদ দীন।
আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং শিহাব শাহরিয়ার। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজি মাহতাব সুমন। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া, আমজাদ দেওয়ান, রুশিয়া খানম, ড. বিশ্বজিৎ রায়, মো. দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, সোনিয়া বেগম, মমতা দাসী বাউল এবং মো. আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এইচএমএস/এএটি