ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

এই মুখরতা রয়ে যাবে...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এই মুখরতা রয়ে যাবে...

ঢাকা: ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এবার করোনা উপেক্ষা করেও শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ফেব্রুয়ারির বইমেলা যেন একটু বেশি মনোমুগ্ধকর।

তাইতো দিন যত গড়াচ্ছে, শুরু থেকে ততই পাঠক-ক্রেতায় মুখর হচ্ছে মেলা। এই মুখরতা আর কমবে না বলেই মন্তব্য প্রায় সবার।

মেলা শুরুর প্রথম দিন থেকে ১৪তম দিন সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বসন্তের স্নিগ্ধ বিকেল ও সন্ধ্যায় পাঠকদের এই উপস্থিতি স্বস্তি দিয়েছে প্রকাশক ও বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীদের। করোনাময় দুই বছর পেরিয়ে এ বইমেলা যেন আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে তাদের সবার জন্য। মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ভিড় ও বেচাকেনা আর কমবে না।

বিকেল ও সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রকাশনী ঘুরে দেখা গেছে, পাঠক-দর্শনার্থীরা বেশি খুঁজছেন উপন্যাস ও ইতিহাসের বই। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, সায়েন্স ফিকশন, স্মৃতিকথা জাতীয় বইও কিনছেন তারা। পাশাপাশি কিনছেন কবিতা-গল্পের বইও।

লেখক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক গওহর গালিব জানান, টানা দুই বছরের ছন্দপতনের পর এবারের বইমেলায় পাঠকের এই উপস্থিতি তিনি উপভোগ করছেন।

সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রকাশক শারমিন হক জানালেন, শঙ্কা নিয়ে শুরু হওয়া মেলা লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে। মেলায় পাঠক ও দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। তারা বই কিনছেন।

বাংলা একাডেমির স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, এবারের বইমেলায় তাদে স্টল থেকে রাজনীতি ও ইতিহাসের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসবের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর 'আমার দেখা নয়াচীন' আর 'কারাগারের রোজনামচা' বই দুটি চলছে সবচেয়ে বেশি।

তাম্রলিপি প্রকাশনীর হাসান আলী জানান, তাদের স্টলে বেশি বিক্রি হচ্ছে উপন্যাস। এছাড়া মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশনের বইগুলোও চলছে ভালো।

বইপ্রেমী শামসুল হক বলেন, এবারের মেলা যেন একটু বেশিই মুখর। মেলা শেষ হয়ে গেলেও এই মুখরতা, এই মুখরতার রেশ রয়ে যাবে।

সোমবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৯৩টি। এর মধ্যে গল্প ৯টি, উপন্যাস ১০টি, প্রবন্ধ ৯টি, কবিতা ৩৩টি, গবেষণা ৩টি, ছড়া ২টি, শিশুসাহিত্য ২টি, জীবনী ৪টি, রচনাবলি ১টি, মুক্তিযুদ্ধ ২টি, নাটক ১টি, ভ্রমণ ১টি, ইতিহাস ৪টি, বঙ্গবন্ধু ১টি, রম্য/ধাঁধা ১টি, ধর্মীয় ১টি, অভিধান ১টি, অন্যান্য ৮টি।

বইগুলোর মধ্যে- আগন্তুক প্রকাশনীর নাসরীন রেখা ও অসীম সাহার সম্পাদনায় গল্পগ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধের দুই কিশোরী’, চিরদিন প্রকাশনীর ডা. কাজী খাদেমুল ইসলামের আত্মজীবনীমূলক বই ‘আশার জীবনকথা’, ক্যারিয়ার পাবলিকেশনের অ্যডভোটেক মো. আজমত উল্লাহ খানের বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ: আদর্শ ব্যক্তি ও জাতিগঠনে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’, পারিজাত প্রকাশনীর মোনায়েম সরকারের প্রবন্ধ ‘মুজিবনগর সরকারের সংকট ও সাফল্য’, কথাপ্রকাশের মুহম্মদ নূরুল হুদার ছোটগল্প ‘আয়না দিঘি’ ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রবন্ধ ‘জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়’, টাঙ্গন প্রকাশ করেছে হেনরি এলেগের লেখা ও রণেশ দাশগুপ্তের অনূদিত ইতিহাস বিষয়ক বই ‘জিজ্ঞাসা’, অনন্যার গোলাম মাওলা রনির প্রবন্ধ ‘একটি রাম ছাগলের আÍকথা’ ও মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘একাত্তরের বন্ধু যারা’ বিদ্যাপ্রকাশের তাজুল মোহাম্মদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘ভাষা-আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ: অগ্রণী ভূমিকায় সিলেট’ ও রুমা মোদকের নাটক বিষয়ক বই ‘নির্বাচিত নাটক’, অন্বয় প্রকাশের অধ্যাপক অপু উকিলের সম্পাদনায় সংকলনগ্রন্থ ‘শেখ রাসেল আমাদের ভালোবাসা’ এবং বাউন্ডুলের আসাদ চৌধুরীর জীবনী ‘আবুল হাশিম’ উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।