ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

বইমেলা

তাজবীর সজীবের নতুন দুই বই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
তাজবীর সজীবের নতুন দুই বই

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এ তাজবীর সজীবের দুটি নতুন বই এসেছে। বই দু’টির একটি তাজবীর সজীবের সম্পাদনা গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের ডিজিটাল সমীকরণ’।

বইটি এনেছে শিখা প্রকাশনী। অমর একুশে বইমেলার ৪০৫-৪০৮ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।

এছাড়া তাজবীর সজীবের উপন্যাস ‘ময়ূখ’ প্রকাশিত হয়েছে তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে। তাম্রলিপি প্রকাশনীর ২১ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে উপন্যাস ‘ময়ূখ’।

‘গণমাধ্যমের ডিজিটাল সমীকরণ’ গ্রন্থে আছে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও সময়ের উপযোগী তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু। একই সঙ্গে আছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ও তরুণ সাংবাদিকদের বর্তমান গণমাধ্যম এবং ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে অভিমত।

‘গণমাধ্যমের ডিজিটাল সমীকরণ’ গ্রন্থের সম্পাদক তাজবীর সজীব গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন, আমার সম্পাদনায় গণমাধ্যম নিয়ে বড় পরিসরের, বড় কলেবরের গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের ডিজিটাল সমীকরণ’। আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার, ভালো লাগার ব্যাপার, আমার সম্পাদিত এই বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তিতে সুখ্যাতি অর্জনকারী ব্যক্তিবর্গ, সম্পাদক, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার জ্যেষ্ঠ এবং তরুণ সাংবাদিকগণ। তারা গ্রন্থটিতে করেছেন গণমাধ্যম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গণমাধ্যমের ইতিহাস, ঐতিহ্য, পলিসি, বর্তমান চিত্র, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিকার, ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়েও লিখেছেন। এছাড়াও আছে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ভাবনার একীভূতকরণ, আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন সাবেক উপাচার্যদের চোখে গণমাধ্যমের চিত্র, ভূমিকা, প্রভাব, পরিধি, ব্যাপ্তি, সংকট, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ।

গণমাধ্যম নিয়ে যারা ভাবেন, এই গ্রন্থটি পড়ার পর তাদের জন্য নতুন অথবা পুরনো ভাবনার খোরাক মিটিয়ে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন তাজবীর সজীব।

গ্রন্থটিতে লিখেছেন এবং সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার পথিকৃৎদের অন্যতম অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান; গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং চ্যানেল আইয়ের অন্যতম কর্ণধার শাইখ সিরাজ; চ্যানেল আইয়ের নিউজ এডিটর আদিত্য শাহীন; মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক; জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম; বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম; জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন; স্পাইস টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক তুষার আবদুল্লাহ; একুশে টিভির প্রধান সম্পাদক অখিল পোদ্দার; সাংবাদিক রনজক রিজভী; চ্যানেল আই ডিজিটাল এবং ইউটিবের প্রধান দায়িত্বশীল আসাদ ইসলাম; ঢাকা পোস্ট এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার; ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পোর্টস এডিটর রাকিবুল হাসান; কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, ছড়াকার এবং নিউজ পোর্টাল অপরাজেয় বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা পলাশ মাহবুব; যমুনা এবং মোহনা টেলিভিশনের সাবেক চিফ নিউজ এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ; আরটিভির বার্তা সম্পাদক আবদুল হাকিম চৌধুরী; সাংবাদিক এবং নন্দিত কলামিস্ট মীর আব্দুল আলীম; প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান; নিউজ২৪ অনলাইনের প্রধান দায়িত্বশীল মাজহার খন্দকারসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও শিক্ষাবিদদের চোখে গণমাধ্যমকে দেখার চেষ্টা স্বরূপ আছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হক; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।

অন্যদিকে তাজবীর সজীবের উপন্যাস ‘ময়ূখ’ এ আছে ভিন্ন মাত্রা, স্বাদ, নিজস্ব ঢঙের আবেগ এবং সেন্স অফ হিউমার, এমনটাই জানিয়েছেন বইয়ের লেখক।

‘ময়ূখ’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাজবীর সজীব বলেন, ময়ূখ উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রটির নাম অবন্ত, পুরোটা জীবন ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝে সুন্দরের কণা খুঁজে বেড়িয়েছে সে। তার জীবনের বাঁকে বাঁকে শাখে শাখে একাধিক ভালোবাসায় জড়িয়েছে। সুন্দরের খোঁজে। পেয়েছে কি? উহু, পাঠক। বলবো না।

জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। তবে একটা নিশ্চয়তা দিচ্ছি পাঠক, সহজ ভাষায় লেখা উপন্যাসটি পড়ে মজা পাবেন। জীবনের নির্যাস রয়েছে বইটির ভাঁজে ভাঁজে। এই নির্যাস আপনাকে কখনো হাসাবে, কাঁদাবে, উদ্বেলিত করবে। প্রিয় পাঠক আমন্ত্রণ। ময়ূখের ভুবনে প্রবেশ করুন আর নিজেকে ভিজিয়ে আনুন ময়ূখের নির্যাসে।

মো. তাজবীর হোসাইন। তবে সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য অঙ্গনে তাজবীর সজীব নামেই তিনি বেশি পরিচিত। পড়েছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর সমাজ কল্যাণ বিভাগে। পরবর্তীতে আরও চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েশন করেছেন তিনি, যার মধ্যে আইবিএ অন্যতম। তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলে বিবেচ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
এইচএমএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।