ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বইমেলা

বিশ্বে নিজেদের তুলে ধরার অভিপ্রায় প্রাধান্য পায়নি বাংলা সাহিত্যে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
বিশ্বে নিজেদের তুলে ধরার অভিপ্রায় প্রাধান্য পায়নি বাংলা সাহিত্যে ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশের সাহিত্যে যতটা আত্মানুসন্ধান বা আত্ম আবিষ্কার কিংবা আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য পেয়েছে, ততটা বিশ্বসমাজের কাছে নিজেদের তুলে ধরার অভিপ্রায় প্রাধান্য পায়নি বলে মত বিশ্লেষকদের।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা সাহিত্যচর্চা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মাযহার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জসিম মল্লিক ও শামস আল মমীন। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্যে যতটা আত্মানুসন্ধান বা আত্ম আবিষ্কার কিংবা আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য পেয়েছে, ততটা বিশ্বসমাজের কাছে নিজেদের তুলে ধরার অভিপ্রায় প্রাধান্য পায়নি। কিন্তু সাহিত্য-সমাজ যেহেতু চিন্তার দিক থেকে তুলনামূলক সক্রিয় এবং অগ্রসর, সেহেতু সাহিত্য-সমাজের আন্তর্জাতিক পরিসর পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সব সময়ই ছিল তীব্রতর। ফলে বাংলাদেশের সাহিত্য অনূদিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিসর পাক সে তৃষ্ণা বাংলাদেশের সাহিত্য-সমাজ বোধ করেছে এবং এ প্রেরণা থেকেই প্রধানত ইংরেজি ভাষায় বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ করতে চেয়েছে।

আলোচকরা বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা সাহিত্যচর্চা সম্প্রসারিত করতে হলে সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী লেখাগুলোকে বিশ্বের নানা ভাষায় মান-সম্পন্ন অনুবাদ করতে হবে। ভাষা যদি শুদ্ধ ও চলমান না থাকে তাহলে সাহিত্য চলতে পারে না। এজন্য নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের আত্মশক্তির বিকাশ হলে সাহিত্যেও তার প্রতিফলন ঘটবে এবং আন্তর্জাতিক মহলেরও বাংলা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এজন্য সাহিত্যে নিজস্ব জীবনবোধের সমন্বয় ঘটাতে হবে, মান-সম্পন্ন অনুবাদ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলা সাহিত্যের প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে।

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে বিকেলে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বজিৎ ঘোষ ও সঞ্জীব পুরোহিত।

আজকের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আবু নাসের মানিক, মাসুদ রানা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাশফুল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’ ও ‘আমরা কুঁড়ি’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বদিয়ার রহমান, আঁখি আলম, ওয়াদুদুর রহমান রাহুল, আবুল বাশার আব্বাসী, ডালিয়া সুলতানা, মো. আরিফুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।