ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেকারদের কাজের সুযোগ তৈরি করবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেকারদের কাজের সুযোগ তৈরি করবে সরকার

ঢাকা: দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসৃজন করবে সরকার। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসৃজন; দুর্যোগজনিত ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে জিআর কর্মসূচি বাবদ ১ দশমিক ২৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ভিজিএফ কার্যক্রম বাবদ ২ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ; গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ১৫০০ কোটি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ১৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন; বন্যাপ্রবণ, নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও উপকূলবর্তী অঞ্চলসহ অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ এবং পুরাতন আশ্রয় কেন্দ্রসমূহের পর্যায়ক্রমে মেরামত; উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন; জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট স্থাপন, রেড ক্রিসেন্ট ভবন নির্মাণ, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্থায়ী ভবন নির্মাণ; গ্রামীণ এলাকায় হেরিংবোন বন্ড রাস্তা এবং গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন; ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে উদ্ধার অপারেশন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ধার যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সংগ্রহ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে ১১ হাজার তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে পাঁচ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে পাঁচ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

গত বছর এই মন্ত্রণায়ের জন্য ১০ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এই বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।  বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।