ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

ব্যক্তিখাত থেকে রাজস্ব আদায় বড় চ্যালেঞ্জ

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
ব্যক্তিখাত থেকে রাজস্ব আদায় বড় চ্যালেঞ্জ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ঢাকা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। মনে করা হচ্ছে যে আগামী বছর ব্যক্তি খাত থেকে রাজস্ব আয় অনেক বেশি হবে।

সেই রাজস্ব আয়ের মূল জায়গাটি নতুন করদাতাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু পুরনো করদাতারা অধিকতর কর দেবেন এরকম যেন না হয়।
 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডির কার্যালয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
দেবপ্রিয় বলেন, আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ০৩ প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে তা উচ্চাশা হলেও সঠিক। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি হার বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত বিনিয়োগের কৌশল আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
 
তিনি বলেন, আমাদের সংশয় হলো এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমানে ২১ শতাংশ দেশজ আয় থেকে ২৪-২৫ শতাংশ দেশজ আয়ের হার বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যে ব্যক্তি বিনিয়োগ প্রয়োজন দেখা দেবে, সেটার জন্য যে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে তা সন্তোষজনক নয়।
 
দ্বিতীয় বিষয়টি হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, আর্থিক পদক্ষেপগুলোর মধ্য অনেকগুলোই যৌক্তিক। এর মধ্য জাতীয় শিল্পকে রক্ষা, রপ্তানি বিকাশ, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ভৌগলিকসহ যেসব যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সবগুলোই খুবই ইতিবাচক। কিন্তু যতগুলো রেয়াত অর্থাৎ সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার বিপরীতে কোথা থেকে অর্থ আসবে সেটার বিষযে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায় না। তবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে কী ধরনের কর আদায় হবে সেটা ভাবনার বিষয় রয়ে গেছে।

এছাড়া তিনি আয়-ব্যায়ের বৃদ্ধির সামঞ্জস্য রেখে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণও বাড়ছে মন্তব্য করেন।
 
এ সময় তিনি বলেন, ঘাটতি অর্থায়ন বহুলাংশ অভ্যন্তরীণ অর্থের উৎসের নির্ভশীলতার ওপর থেকে যাচ্ছে। এটিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। এর মধ্য ব্যাংকিং খাত থেকে অর্থ নেওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাকি অর্থায়নের জন্য বৈদিশিক অর্থায়নের কথা বলা হচ্ছে। এখন ৪০০ কোটি ডলার বৈদেশিক অর্থায়নের প্রয়োজন দেখা দেবে। অনুদানও যদি ধরি তাও ৩০০ কোটি ডলার ঘাটতি থাকবে।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ‍জুন ০৫, ২০১৪/আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।