ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেটে বরাদ্দের সদ্ব্যবহার চান নারী উদ্যোক্তারা

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
বাজেটে বরাদ্দের সদ্ব্যবহার চান নারী উদ্যোক্তারা

ঢাকা: নারীদের উন্নয়নে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দকৃত ১শ’ কোটি টাকার সদ্ব্যবহার করতে চান নারী উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরও সরকার বাজেটে ১০০ কোটি টাকা নারীদের উন্নয়নে বরাদ্দ করেছিলো।

কিন্তু আমরা তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারিনি। এবার অন্তত সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে বরাদ্দের ১০০ কোটি টাকা যাতে পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়। তাহলেই পরবর্তী বছরে বাজেটে আমরা বাড়তি বরাদ্দ চাইতে পারি।

অন্যদিকে বাজেট পেশের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এফবিসিসিআই এর প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন,সরকার নারীদের উন্নয়নে যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন তা সময়োচিত। কারণ এই বরাদ্দের ফলে নারী উদ্যোক্তারা আরো উৎসাহের সাথে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকাই যথার্থ হয়েছে বলে মনে করছি। কারণ এখন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এর থেকে বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। এর আগের অর্থ বছরে যে বরাদ্দ সরকার নারীদের জন্য রেখেছিলো তাই ব্যয় করা যায়নি। সুতরাং নারীদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের বরাদ্দ যথার্থ।

এবারের বাজেটে নারী উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতবারের বাজেটেও একই বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো।

বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা ৩৫ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের ধারাবাহিকতায় নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, যৌন নির্যাতন, যৌন হয়রানি, নারী ও শিশুপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে।

জাতীয় উন্নয়নে নারীকে সম্পৃক্ত করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে নারীবিদ্বেষী প্রচারণা ও সামাজিক বিধি-নিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, নারীকে স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যকর্মের সম্প্রসারণ করা হবে। নারীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রণোদনা থাকছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা এবং ঘাটতি (অনুদান ছাড়া) ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। মূল এডিপি ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ১৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

মানবসম্পদ উন্নয়নের হার, বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।