ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

কালো টাকা সাদা হচ্ছে না

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৪
কালো টাকা সাদা হচ্ছে না ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ওসমানী মিলনায়তন থেকে: আগামী অর্থবছের কালো টাকা সাদা করার কোনো সুযোগ থাকছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে কাল টাকা সাদা করার বিধান আর থাকছে না।

আর অন্য ক্ষেত্রেও এ সুযোগ রাখা হচ্ছে না কালো টাকা থেকে গত বছর ৩৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এই হিসাব দেখলে মনে হয় দেশে কালো টাকাই নেই। ভুল করে বাজেট বক্তৃতায় এটি ছিল না। এখন বলছি এটি বাতিল।
 
“গত বছর শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে তেমন সাড়া না পাওয়ায় এ বছর সে সুযোগ রাখা হয়নি। ”

অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে আমি কালো টাকার বিষয়ে এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, “চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিনটি খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। খাতগুলো হলো- আবাসন (জমি ও ফ্লাট ক্রয়), বন্ড ক্রয় এবং ১০ শতাংশ কর দিয়ে যেকোনো খাতে।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত এসব খাতে মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ট্যাক্স পেয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। তাই অন্যক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি-না তা মন্ত্রী ভেবে দেখছেন।

চলতি অর্থবছরে সুযোগ দেওয়ার পরও সাড়া না পেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, তার মানে কি দেশে কালো টাকা নেই?

তিনি আরও বলেন, কালো টাকা আছে। তবে সেটা অন্য রূপে। যেহেতু এই সুবিধায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, সেই কারণে এটা বন্ধ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

একই মঞ্চে পাশের আরেকটি টেবিলে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রমুখ।

বিরোধী দলবিহীন ৫ বছর বাজেট উপস্থাপন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার বিরোধী দল ছিল। সেটি যেরকম ধরনের বিরোধী দলই হোক। সরকার রাজস্ব আয়ে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে বলে তিনি এর প্রশংসা করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চভিলাষী বাজেট যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে সেটিই ভালো। প্রথম থেকেই আমি উচ্চাভিলাষী বাজেট দিয়ে আসছি। ৫ বছরে ব্যয় করার সামর্থ্য দ্বিগুণ হয়েছে। এটাই এই সরকারের বৈশিষ্ট্য।
 
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বাজেটকে ‘লক্ষ্য বিলাস’ বাজেট বলে উল্লেখ করেছে- এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নো কমেন্ট’। তাদের মন্তব্যকে কোনো মন্তব্য বলে মনে হয় না।

** অর্থ পাচারের তথ্য সঠিক নয়: লোটাস কামাল
** উচ্চাভিলাষী বাজেট দেশের জন্য ভালো
** অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন শুরু
** কৃষিতে যা বরাদ্দ চেয়েছি তাই পেয়েছি
** করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না
** দেশে প্রবৃদ্ধিও হচ্ছে দারিদ্রও কমছে: ইনু

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।