ঢাকা: ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই দলীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী শিশুদের জীবনে শুভ পরিবর্তন আনতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম (২০১৫-১৬ অর্থবছরে) ‘শিশুদের নিয়ে বাজেট ভাবনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পুস্তক প্রকাশ করতে পেরেছি। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন এটি শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র কোনো বাজেট নয়। তাদের উন্নয়নে এটি একটি কাঠামো মাত্র।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিশুদের জন্য বাজেট’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। শিশুদের জন্য বাজেট বলতে শিশুদের জন্য একটি পৃথক বাজেট প্রণয়ন করাকে বোঝায় না বরং সরকারের সামগ্রিক বাজেটে শিশুদের চাহিদা কী পরিমাণে মেটানো সম্ভব হবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
শিশু চাহিদা পূরণ ও কল্যাণে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে বাজেট বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
এর মধ্যে রয়েছে-
১. শিশু স্বাস্থ্য বিনিয়োগ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যয়।
২. শিশু শিক্ষায় বিনিয়োগ বিষয়ে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যামে ব্যয়।
৩. শিশু সুরক্ষা, কল্যাণ ও বিকাশে বিনিয়োগ বিষয়ে সমাজ কল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যামে ব্যয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এখানে কোনো ধরনের শিশু বাজেট কাঠামো অথবা কোনো নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়নি। মূলত পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের শিশু সম্পর্কিত বরাদ্দ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণপূর্বক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিশু বাজেটের আইনগত ভিত্তি, যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
কেজেড/আইএ