ঢাকা: আসন্ন বাজেট হতে হবে সহনীয়। হুট করেই ব্যবসায়ীদের দেওয়া কোনো সুযোগ যেমন বন্ধ করে যাবে না, ঠিক তেমনি হঠাৎ করে কোনো কিছু বেশি বাড়ানোও যাবে না।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির তৃতীয় সভায় একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বাজেট হতে হবে সহনীয়। হুট করেই ব্যবসায়ীদের দেওয়া কোনো সুযোগ যেমন বন্ধ করে যাবে না ঠিক তেমনি হঠাৎ করে কোনো কিছু বেশি বাড়ানোও যাবে না। কারণ ৯২ দিনের হরতালে নানা কষ্টের মাঝেও ব্যবসায়ীরা রপ্তানি চলমান রেখেছিলেন। ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করার ব্যবস্থা আমি করব।
এসময় সব খাতের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে সাত সদস্যের ব্যবসায়িক দল নির্ধারণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশ অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ নেই, তা এখন বাস্তব।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক লোন নিয়ে সমস্যায় পড়ায় খেলাপি ঋণ ৪০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান এফবিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে কাঁচামাল এনে কাপড় তৈরি করে রপ্তানি করছি। ব্যাংক লোনে অনেকেই জর্জরিত। পাশের দেশ ভারতেও আমাদের চেয়ে কম সুদে ঋণ পায় ব্যবসায়ীরা। মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টও রয়েছে সমস্যা। সরকারের উচিত এ সংক্রান্ত ইনস্টিটিউশনের ব্যবস্থা করা।
পোশাকশিল্পের ব্যবসয়ীরা বছরে ব্যাংকে ২ হাজার ৬শ কোটি টাকা কেবল করই দেন বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, অ্যাকর্ড অ্যালায়ান্স দিয়ে পোশাক শিল্পের মালিকরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। তাদের মন মতো কারখানা তৈরি করতে দরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই মুহূর্তে ব্যাংক লোন প্রয়োজন। পাশাপাশি পোশাকশিল্পের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে তা বলবৎ রাখা।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইর সাবেক সভাপতি সেলিম ওসমান প্রমুখ।
আলোচনায় দেশের মোট ১৫টি খাতকে নগদ প্রণোদনা দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
ইউএম/এএ