ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

অষ্টম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা, ৩৪ লাখ শিশুকে স্কুল ফিডিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
অষ্টম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা, ৩৪ লাখ শিশুকে স্কুল ফিডিং

ঢাকা: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত এবং ঝরে পড়া রোধে প্রায় ৩৪ লাখ শিশুকে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
বৃহস্পতিবার(০৪ জুন’২০১৪) জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণাকালে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।


 
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, প্রাথমিক পর্যায়েই শিক্ষার মূল ভিত রচিত হয়। তাই আমরা মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছি। ২০১৮ সাল নাগাদ প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
 
গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে এবার মোট ৩১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান মুহিত।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, শতভাগ ভর্তির সুফল ধরে রাখতে ৯৩টি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৩ লাখ ৯০ হাজার শিশুর জন্য স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
 
বিদ্যালয় নেই এমন গ্রামে এক হাজার ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনার অধীনে এক হাজার ১৯টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং বাকিগুলো নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
 
১০টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ/সংস্থার সহায়তায় তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়ন চলছে, যার আওতায় আসবাব ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান আছে। মাঠ প্রশাসনের প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর করার কাজও চলছে। এ ছাড়া ১১টি উপজাতীয় ভাষায় পাঠ্যক্রম প্রণয়নের ফলে উপজাতি শিশুরা মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের এক হাজার কোটি টাকা সিড মানির বিপরীতে অর্জিত ৭৫ কোটি টাকা মুনাফা হতে স্নাতক ও সমপর্যায়ের মেয়েদের উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমও চলমান থাকবে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৯২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০টি উপজেলায় একটি করে কারিগরি বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
 
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে গার্লস টেকনিক্যাল স্কুল, ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চারটি বিভাগীয় শহরে চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং সব বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
 
এ ছাড়া ১৫-৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
 
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিতে সকল বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট তৈরির কথাও জানান মুহিত।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, বরিশালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।