ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বাজেট পেশ ২ জুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৬
বাজেট পেশ ২ জুন

ঢাকা: ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট আগামী ২ জুন জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনার সময় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।



অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে দেশের মেগা প্রজেক্টগুলোর জন্য মেগা প্রজেক্ট বাজেট এবং ক্যাপিট্যাল বাজেট নামে দু’টি আলাদা বাজেট করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

ব্যবসায়ীদের আগের চেয়ে অনেক পরিণত উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আসছে বাজেটে শিল্পখাতের সুরক্ষা কমিয়ে দেওয়া হবে।  

মুহিত বলেন, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় সরকার দীর্ঘদিন থেকেই শিল্পখাতের সব জায়গায় সম্পূরক শুল্ক দিয়ে আসছিল। আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হলেও বাজার পর্যন্ত আসতে তাতে খরচ পড়ে ৫৫ থেকে ৭৫ শতাংশ।
 
আগামীতে সরকার ঋণনির্ভর মেগা প্রকল্প করতে চায়। যেখানে বন্ড একটি বড় ইস্যু হবে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তবে, বিদেশি ঋণ নিলে তাতে রাজনীতি হয় বলে তা নিয়ে খানিকটা উদ্বিগ্ন অর্থমন্ত্রী।
 
আসছে বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা হতে যাচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। কয়টি মন্ত্রণালয় এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষ তা জেনেও অন্য দেশের অর্থনীতি বিবেচনায় বড় এডিপি’র ঝুঁকি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
 
বাজেটে সব ধরনের পলিসি থাকে। তাই সব নিয়েই ভাবতে হয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
 
এদিকে এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এই হার অনেক কম বলে উল্লেখ করেন এমসিসিআই’র সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুর।
 
তিনি বলেন, পাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশে করপোরেট কর কমানো দরকার। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট আয় কর এখানে ২৫ শতাংশ, যা কম বেশি তুলনাযোগ্য।

‘কিন্তু তালিকা বহির্ভুত কোম্পানিগুলোর করপোরেট আয় কর (৩৫ শতাংশ) অনেক বেশি দিতে হয়। আর অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ কর দিতে হয়, যা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি’ বলেও মন্তব্য করেন নাসিম মনজুর।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামো ঐতিহাসিকভাবে পরোক্ষ উৎসের ওপর অধিক নির্ভরশীল। ফাইনাল গুডস আমদানিতে সর্বোচ্চ নমিনাল রেট ২৫ ভাগ শতাংশ ইফেকটিভ রেট অব প্রোটেকশনে তা গড়ে ৫৫ শতাংশের বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৭৫ শতাংশেরও বেশি।

আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম আহমদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এসই/টিআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।