ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

আগামী বাজেট অসৎ ব্যবসায়ীদের মূর্তিমান আতঙ্ক হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
আগামী বাজেট অসৎ ব্যবসায়ীদের মূর্তিমান আতঙ্ক হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) জাতীয় বাজেট অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এবারের বাজেটে সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে। আর অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য এ বাজেট হবে মূর্তিমান আতঙ্ক। বাজেটে অসৎ ব্যবসায়ীদের সব সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এনবিআর আগের চেয়ে অনেক বেশি সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। এনবিআর এখন জনবান্ধব, করদাতাবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, উন্নয়নবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব।

চেয়ারম্যান বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন তথা বাজেট প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। আমরা অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। সারাদেশে রাজস্ব সংস্কৃতি বিরাজ করছে।
 
আগামী বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, বড় স্বপ্ন থাকলে তা বড় কিছু বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারে। সামনের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বড় হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় রাজস্ব আদায় সম্ভব।
 
জনগণকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের করের টাকা সরকার যথাযথভাবে ব্যবহার করছে। এ প্রত্যয় জীবনে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রণয়নে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে।
 
বন্ড ব্যবস্থার অপব্যবহার নিয়ে এনবিআর সচেষ্ট রয়েছে। এর আগেও ঘোষণা করেছি, যারা বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে তারা জাতীয় শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এনবিআর কাজ করছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
 
সম্প্রতি অ্যাকশনএইড রিপোর্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন খুঁজে বের করছে যে উন্নত বিশ্ব এ চুক্তির মাধ্যমে এক তরফাভাবে লাভবান হচ্ছে। এসব চুক্তি রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব। বিশ্বের সব ফোরামের জন্য একটি গার্ডিয়ান থাকলেও ট্যাক্স ইস্যুতে কোনো গার্ডিয়ান নেই।
 
পানামা পেপারস সম্পর্কে তিনি বলেন, এ রিপোর্টে এনবিআরের যে সক্রিয়তা রয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে, যা যা করা দরকার সব করা হবে। মানিলন্ডারিং বিষয়ে এনবিআরের ওপর যে দায়িত্ব তা পালন করা হচ্ছে। দুদক, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
 
ট্রান্সফার প্রাইসিং সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে শুনে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি নিজেদের শুধরে নিচ্ছেন। যেসব আলামত পাচ্ছি, তাতে দেখছি তারা সর্তক হয়েছেন।
 
সভায় এনবিআর সদস্য পারভেজ ইকবাল, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, তন্দ্রা শিকদার, শাহরিয়ার মোল্লা, ইআরএফ এর সভাপতি সাইফ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬/আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।