ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

নতুন ভ্যাট আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিরামিক খাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
নতুন ভ্যাট আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সিরামিক খাত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়নে দেশীয় সিরামিক (টাইলস, টেবিলওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার) খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ খাত রক্ষায় সিরামিক আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করে তা বহাল বা বৃদ্ধি অথবা ভিন্ন নামে শুল্কারোপের দাবি জানানো হয়েছে।


 
রোববার (২৪ এপ্রিল) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
 
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, সিরামিক পণ্য আমদানিতে যে সম্পূরক শুল্ক রয়েছে জুলাই থেকে ভ্যাট আইন কার্যকর হলে আর থাকছে না। ফলে আমদানি বেড়ে যাবে। এতে দেশীয় সিরামিক উৎপাদন পর্যায়ে লোকসানের সম্মুখীন হবে। ধ্বংসের মুখে পড়বে দেশীয় সিরামিক শিল্প।
 
তিনি বলেন, সিরামিক টাইলস আমদানি পর্যায়ে বর্তমানে ৬০ শতাংশ ও উৎপাদনে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক রয়েছে। জুলাই থেকে আমদানি পর্যায়ে ৪৫ শতাংশ ও উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ থেকে ৪৫ শতাংশ হয়ে যাবে। উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দেশীয় টাইলস মার খাবে।
 
অপরদিকে স্যানিটারি ও টেবিলওয়্যার আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে শূন্য হয়ে যাবে। উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক শূন্য রয়েছে। দু’টির সম্পূরক শুল্ক শূন্য হয়ে গেলে দেশীয় এ দু’টি পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
 
বর্তমানে চীন ও ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ সিরামিক পণ্য আমদানি হচ্ছে। নতুন আইনে সম্পূরক শুল্কের কারণে এ খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।
 
অসাধু আমদানিকারকের আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে কম শুল্কে পণ্য আমদানি করে দেশীয় বাজারের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
 
ইরফান বলেন, টাইলস, স্যানিটারিওয়্যার, টেবিলওয়্যার, গ্লাস ও ওপালওয়্যার আমদানিতে ট্যারিফ মূল্য কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আসছে।
 
সিরামিক খাতের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, এ খাতে নগদ সহায়তা প্রদান ও নতুন ভ্যাট আইনে এ খাতের জন্য ভাবতে আহ্বান জানান।
 
ইরফান বলেন, দেশি-বিদেশি ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রায় ৬০টি সিরামিক শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর এ খাত থেকে ৩৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। প্রতিবছর ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার স্থানীয় বাজার ও ১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আসে এ খাত থেকে।
 
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন নতুন ভ্যাট আইনের ফলে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক এক হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
 
তিনি বলেন, আন্ডার ইনভয়েসিং হলে সেটা দেখা হবে। তবে ডব্লিউটিও অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক থাকবে না। দেশীয় শিল্প হিসেবে এ খাতের যেন কোনো ক্ষতি না তাও দেখা হবে।
 
আলোচনা সভায় এনবিআর সদস্য পারভেজ ইকবাল, তন্দ্রা শিকদার, আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিনসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

**করই বাধা কোমল পানীয়ের বাজার!
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
আরইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।