ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

ঢাকা: বিদেশে অর্থ পাচাররোধ ও বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম গ্রহণের সুযোগে দেশের অর্থ পাচার বন্ধ করতে আগামী পাঁচ  বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দাবি করে রিহ্যাব।
 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সাড়া না দেওয়ায় পরে দুই বছরের জন্য একই দাবি করেন রিহ্যাব নেতারা।

তারা বলেন, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৯ বিবিবিবিবি’তে ইনিডেমিনিটি রেখে এ ধারা সংশোধন করা হলে দেশের জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
 
অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে ওইসব বিনিয়োগকারী ট্যাক্স-নেটের আওতায় চলে আসবেন। এ ধারায় ইনডেমিনিটি না থাকায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
 
রোববার (২৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অর্ন্তভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে এসব দাবি সম্বলিত প্রস্তাবনা দেন।
 
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, ধারা ১৯ বিবিবিবিবি কনসিডার না করা হলে মানুষ বিনিয়োগ করবেন না। কেউ ফ্ল্যাট কিনলেই দুদক চিঠি পাঠায়। অন্তত একটি করে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য হলেও ধারাটি সংশোধন করা প্রয়োজন।
 
এছাড়াও রিহ্যাব আবাসনখাতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সংখ্যার সুদে দীর্ঘমেয়াদী ২০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করা, সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় হ্রাস করে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, জমির মালিকদের উৎস কর ১৫ থেকে ৪ শতাংশ, গৃহায়ন শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর হ্রাস, মূল্য সংযোজন কর হ্রাস ও নতুন করারোপ না করা, রাজউক ও সিডিএ আওতায় ও বাইরের জমির আরোপিত কর প্রত্যাহার, ক্রেতাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, অগ্নি নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম শুল্কমুক্ত আমদানি, সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ৫ বছরের জন্য ডেভেলপারকে অব্যহতি, লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন সার্টিফাইড ভবনের জন্য আয়কর রেয়াত, বিকেন্দ্রীকরণ নগরায়ন ও উন্নয়নের জন্য শহর এলাকায় ৫ বছর একং বাইরে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে প্রদান, নির্মাণকালীণ ভবনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হারে ইউটিলিটি বিল নির্ধারণ, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুদহারে আবাসন তহবিল গঠন করার দাবি জানান।
 
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে কেউ কোনো ফ্ল্যাট কিনলে তাকে সাড়ে ১৪ শতাংশ কর ও ফি দিতে হয়। এটি ৭ শতাংশ করা প্রয়োজন। ১০-১২ বছর ধরে ফ্ল্যাট কিনে কোনো মালিক নিবন্ধন করাচ্ছেন না। এ কারণে সরকারও এখাত থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে।
 
দেশে ১২শ’ আবাসন কোম্পানি ছাড়াও এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ২০ হাজার ফ্ল্যাট মালিক, ২ হাজার জমির মালিক ও প্রায় ৩শ ভবন নির্মাণের সঙ্গে সর্ম্পতিক বিভিন্ন কাঁচামাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
 
আলোচনায় রিহ্যাবের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।