গেলো বছর রেলে বাজেট ছিলো ১২ হাজার ৭৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর রেলে চার হাজার ৫৯ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুরে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এটি তার একাদশ বাজেট পেশ।
জাতীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভার বিশেষ বৈঠকে এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রেলে উন্নয়ন বাজেট ১৩ হাজার এক কোটি নয় লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন বাজেট তিন হাজার ১শ ৩৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে চিনকী আস্তানা-চট্টগ্রাম সেকশনের ১১টি স্টেশনের বিদ্যামান সিগন্যালিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ, দর্শনা-ঈশ্বরদী সেকশনের ১১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, ষোলশহর-দোহাজারী ও ফতেয়াবাদ-নাজিরহাট সেকশনের পুনবার্সন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন পুর্নবাসন এবং কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত মিটার গেজ সিঙ্গেল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, লোকোমোটিভ, রিলিফ ক্রেন লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ এবং মিটার গেজ ও ব্রড গেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এমইউএম/এসএনএস