ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেট নিয়ে খুলনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
বাজেট নিয়ে খুলনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

খুলনা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কর্তৃক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে খুলনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সব বিষয়ে খেয়াল রেখে এ বাজেট দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

২০৪১ সালে আমরা যে উন্নত দেশে যাবো এ বছর থেকে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণ ও উন্নয়নমুখী অবিহিত করে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান তিনি।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ বলেন, এ বাজেট বাঙালি জাতির ভাগ্যন্নোয়নের বাজেট, এ বাজেট মানুষের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের বাজেট। এ বাজেটে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কথাই বিবেচনায় রাখা হয়েছে।  

প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোধী বাজেট বলে আখ্যা দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট জনগণের কোনো কল্যাণে আসবে না। বাজেটের মধ্যে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে না।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কর্তৃক ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেট জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমুখী, গণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব।

প্রস্তাবিত এ বাজেটে উন্নয়ন খাত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, কৃষি খাত শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাত, নিরাপত্তা খাতে অধিক বরাদ্দ, নারী ও বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের করমুক্ত আয়কর সীমা বৃদ্ধি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে দু’টি উৎসব ভাতা চালু করায় এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে খুলনা চেম্বারের সভাপতিসহ পরিচালনা পরিষদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাটের পরিমাণ ১২ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ এবং ব্যাংকে যে কোনো আমানতের (সঞ্চয়ের) ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করার ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনার জন্য খুলনা চেম্বারের পরিচালনা পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, বাজেটকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এ বাজেট গণমানুষের পক্ষের বাজেট।  
ভিন্নমত প্রকাশ করে খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তুজা বলেন, এ বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব নয়, বরং নিজেদের স্বার্থে উচ্চাভিলাষী ও কল্পনাবিলাসী এ বাজেট পেশ করেছে এ সরকার। এ বাজেট জনগণকে শোষণ করবে ও শাসকদলীয় নেতাদের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটাবে।

তিনি আরও বলেন, এ বাজেট ফাফা ও ঘাটতি বাজেট। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনমুখী বাজেট। এটা দিয়ে জনগণের কোনো উপকার হবে না। তবে আওয়ামী লীগের উপকার হবে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৯২০ ঘণ্টা,  জুন ০১, ২০১৭
এমআরএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।